ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কূটনৈতিক এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বার্নিকাটের উদ্বেগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫
কূটনৈতিক এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বার্নিকাটের উদ্বেগ

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় (ডিপ্লোম্যাটিক জোন) রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স বার্নিকাট।

সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।



বাংলাদেশে নিযুক্ত বেশিরভাগ দেশের দূতাবাস এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি গত সপ্তাহে এ ধরনের কর্মসূচি থেকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান বার্নিকাট।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, চলমান সহিংসতায় সাধারণ মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত কষ্টের বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানান, এসব ঘটনা দেখে তিনি ব্যথিত।

সহিংসতা ঠেকাতে সরকার কী করছে, তাও প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান রাষ্ট্রদূত।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যাপ্তি অনেক বৃহৎ এবং আলোচনার মতো অনেক বিষয় আছে।

পরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, নিয়মিত অনুষ্ঠিত বার্ষিক সংলাপ, অংশীদারি সংলাপ, নিরাপত্তা সংলাপ, সামরিক সংলাপ এবং টিকফা কাউন্সিল সভার মতো আলোচনাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক একটি শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজা পাওয়া আসামি আশরাফুজ্জামান খানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি বার্নিকাটের কাছে তুলে ধরেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি দ্রুত সম্পাদন করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ করা যেতে পারে, গুলশান-বারিধারা এলাকায় বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে। তার কার্যালয় ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকা দিন-রাত সরগরম থাকে। সম্প্রতি তিনি কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বেশি জোরালো হয়ে উঠেছে।

ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা দেশগুলোর দূতাবাস নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় সংলগ্ন রাস্তাগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে আসছে। রীতি অনুযায়ী কূটনৈতিক এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।