সিলেট: স্বজনদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। যেন অজানা আতঙ্ক তাড়া করছে।
সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে শিশুদের মৃত্যুতে উৎকণ্ঠিত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুদের স্বজনরা। ফলে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়াই অনেককে রোগী নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে অনেক রোগী সুস্থ হয়ে না উঠতেই চিকিৎসকরা স্বেচ্ছায় বিদায় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিশেষ করে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে রোগীর অভিভাবকরা সেবা না পাওয়ার কথা চিন্তা করে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া রোগী নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিশুর পিতা জানান, তিন দিনে তার সন্তানকে একবার এসে চিকিৎসক দেখে গেছেন। নার্সদেরও যথাসময়ে দেখা মেলে না। তাহলে এখানে থেকে কী লাভ! এর চেয়ে ভালো এখান থেকে চলে যাওয়া। তাছাড়া আগের রাতে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় অনেকটা বিপর্যস্ত তারা। তাই রোগী নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
বিশ্বনাথের বাসিন্দা ইয়াছিন আলী বাংলানিউজকে বলেন, বড় ডাক্তার এসে বলেছেন, আমার বাচ্চা সুস্থ হতে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকা লাগবে। কিন্তু ছোট ডাক্তার এসে কোনো কথা না শুনেই আমাদের বিদায় করে দিলেন।
তিনি বলেন, দেখুন, আমার বাচ্চাটি এখনো শ্বাসকষ্টে ভুগছে। সন্তানের ক্ষতি হবে ভেবে ডাক্তারের সঙ্গে তর্কে জড়াইনি।
সিলেটের সদর উপজেলার ধোপাগোলের বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে তার দেড় মাস বয়সের ভাগ্নেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার পযর্ন্ত একবারও এসে ডাক্তাররা দেখেননি। চার দিনে নার্সরা মাত্র চার চার দেখেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে গণহারে শিশু মারা যাওয়ায় হাসপাতালের ২২ নং ওয়ার্ড ছিল মৃত্যুপুরী। তাই আতঙ্কে অনেকে না বলেই হাসপাতাল ছাড়ছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুস সালামের সঙ্গে বাংলানিউজ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৫