ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এনকাউন্টারের ঘটনা ইচ্ছাকৃত নয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
এনকাউন্টারের ঘটনা ইচ্ছাকৃত নয় আছাদুজ্জামান মিয়া

ঢাকা: চলমান নাশকতার কথা উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, যখনই এমন পরিবেশ তৈরি হবে, তখনই এই ঘটনা (এনকাউন্টার) ঘটবে।

তবে এনকাউন্টারের ঘটনা ইচ্ছাকৃত নয় বলে দাবি করেন ডিএমপি কমিশনার।



বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দেওয়া চারজনকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আত্মরক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের সাংবাধানিক অধিকার। দণ্ডবিধির ৯৬ ও ১০৭ ধারা অনুযায়ী, কারো ওপর হামলা হলে তার আত্মরক্ষার অধিকার আছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত চার নাগরিক হলেন, রিক্সাচালক মোজাম্মেল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী মো. রুহুল আমিন, ইয়াজ আলী ও আল নাহিয়ান জয়।

ওই চারজন নাশকতার সময় নাশকতাকারীদের হাতেনাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী তাদের অনুদানের টাকা বার্ন ইউনিটে প্রদান করবেন বলেও জানান কমিশনার।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নগরীতে যতো নাশকতার ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছি। নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেছেন। যাদের নাম প্রকাশ করেছেন, নিয়ম মোতাবেক তাদেরকেও
ধরতে গ্রেফতারদের অভিযানে নিয়ে বের হতে হয়।

তিনি বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত নাশকতাকারীদের নিয়ে অভিযানে গেলে তাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলেই কেবল পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা আক্রমণ করে।

অবরোধ- হরতালে নাশকতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, গত তিনদিনে নগরীতে কোনো যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি।

নাশকতাকারী যেই হোক তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির পর থেকে ঢাকা মহানগরীতে নাশকতার অভিযোগে এক হাজার ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী।

নাশকতার সময় ১৮৬ জন নাশকতাকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এর মধ্যে ১০২ জন বিএনপি ও ৮৪ জন জামায়াতের সমর্থক। এছাড়া নাশকতার সময় আটক ৩০ জনকে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু পুলিশের একার পক্ষে নাশকতা বন্ধ করা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়, এজন্য নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চলমান অবরোধ-হরতালে ঢাকা মহানগরীতে ১১টি যানবাহন ভাংচুর ও ১৬৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নাশকতাকারীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের আক্রমণে ৩ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনকালে মারা গেছেন। এছাড়া ৪৪ জন পুলিশ সদস্য ও দুইজন আনসার সদস্য নাশকতাকারীদের আক্রমণে আহত
হয়েছেন।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিশ্চিত ও নিরাপত্তা প্রদান করা সব নাগরিকের দায়িত্ব মন্তব্য করে তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সকলের নাগরিক দায়িত্ব।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মিলি বিশ্বাস, ইব্রাহীম ফাতেমী, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫/আপডেট : ১৩৫০ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।