সিলেট: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতালের চতুর্থদিনেও তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি সিলেট নগরীতে।
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত নগরীর কোথাও হরতাল সমর্থকদের দেখা মেলেনি।
সকালের দিকে যানবাহন চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর কোথাও কোথাও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে হালকা যান চলাচল করছে।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় পিকেটিং না থাকায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো বাস সিলেট টার্মিনাল ছেড়ে যায়নি। তবে এলোমেলো সূচি ধরেই চলছে ট্রেন।
বিভিন্ন স্থানে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাটও। তবে বন্ধ রয়েছে বড় শপিং মল ও বিপণী বিতানগুলো।
ব্যাংক ও সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আদালত পাড়ায়ও দেখা গেছে জনগণের ভিড়।
নগরীতে যেকোনো ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সন্দেহ হলে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নগর জুড়ে টইল দিচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
সিলেট মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার রহমত উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে কোথাও পিকেটিং বা হরতাল সমর্থকদের তৎপরতার খবর তারা পাননি।
মঙ্গলবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট চলমান ৭২ ঘণ্টার হরতালের মধ্যেই আরও ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আহ্বান করে। পূর্ব ঘোষিত হরতাল বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এবার তা শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫