ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কমিউনিটি পর্যায়ের উন্নয়নে তরুণদের সহায়তা চাইলেন জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
কমিউনিটি পর্যায়ের উন্নয়নে তরুণদের সহায়তা চাইলেন জয় কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের কমিউনিটি পর্যায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য দেশের তরুণ সমাজের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
 
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন আয়োজিত ‘পলিসি ক্যাফে’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।


 
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক এ উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশের কমিউনিটি পর্যায়ের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছি। দেখা গেছে এখানে অনেক তরুণ সাহায্য করতে চায়। কিন্তু তাদের প্রধান সমস্যা টাকা। তাই আমরা এ সমস্যা দূর করতে মানুষের আয় বাড়িয়েছি। মাত্র ছয় বছরে আমরা মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি। যা বিশ্বের কোনো দেশ পেরেছে কি-না আমার জানা নেই।
 
তিনি বলেন, এখন তরুণদের জীবন ও কর্মসংস্থান অনেকটা নিশ্চিত। তাই তারা দেশের দরিদ্র মানুষ ও কমিউনিটি পর্যায়ের উন্নয়নের জন্য সহায়তা করতে চায়। আমরাও তরুণদের সহায়তা চাই। বিশেষ করে এ উন্নয়নের জন্য তরুণদের মতামত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ৬ বছর আগে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা নিয়েছিল তখন দেশে কর্মসংস্থানের সমস্যা ছিল। আমরা সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছিলাম। সমস্যাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করেছি। দেশের তরুণ সমাজ আজ আত্মবিশ্বাসী। তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আর তাই বাংলাদেশের কমিউনিটি পর্যায়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, আমরা দেশের যুবকদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাছাড়া তাদের শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোধ করেছি বেশি। কারণ কারও শিক্ষা জীবনে ভালো ফলাফল থাকলে ভালো চাকরি পাওয়া সহজ।
 
জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তরুণদের আইসিটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। কারণ আমার ব্যক্তিগত একটি স্বপ্ন হলো- দেশে একটি শক্তিশালী আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা। যাতে দেশে আউটসোর্সিংয়ের সুবিধা বাড়ে। ইতোমধ্যে আমরা ১৮ হাজার তরুণকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আগামীতে প্রতিবছর ৫০ হাজার তরুণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।
 
তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশের বেকারত্ব বেশ কমেছে। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে এর হার ৪০ শতাংশের মতো ছিল। কিন্তু এখন তা কমে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন সার্ভে করেছি, তাতেও একই ফল লক্ষ্য করা গেছে। আমাদের সার্ভেতে দেখা গেছে- শতকরা ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে- তাদের কর্মসংস্থান রয়েছে।
 
সার্ভেতে উঠে আসা তিনটি সমস্যার কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, একই সার্ভেতে তিনটি সমস্যার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্মসংস্থানের অভাব। কিন্তু সেটা কেন? আমরা গবেষণা করে বুঝলাম মানুষের যতই চাকরি থাকুক সে আরও ভালো চাকরি করতে চায়, অথবা প্রোমোশন চায়। তাই সে সর্বদা ভালো চাকরি খুঁজতে থাকে। আর এতে অনেকে মনে করে দেশে কর্মসংস্থানের অভাব।
 
তিনি বলেন, গ্রামের দিনমজুররা মনে করে তাদের চাকরি নেই। কারণ তাদের কাজের কোনো স্থায়িত্ব নেই। তাবে তারা কাজ না করে একদিনও বসে থাকে না। তারা কাজ করছেই। তারা বেকার নয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫, আপডেট ১৬৩০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।