ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সিলেটে তদন্ত দল

চিকিৎসায় ক্রুটি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
চিকিৎসায় ক্রুটি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা ছবি: (ফাইল ফটো)

সিলেট: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুই সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যা শয্যার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

এরপরও হাসপাতালটি এ অঞ্চলের আশা-ভরসার শেষ স্থল। এখান থেকেই রোগীরা ভালো হয়ে ফিরছেন। তবে তদন্তে চিকিৎসার ক্রুটি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।

বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল একথা জানায়।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পরিদর্শনে যাওয়া প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্যরা হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবিদ হোসেন রাব্বি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক নার্সিং সামিউল ইসলাম সাদি।

পরিদর্শন শেষে বেলা আড়াইটায় প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. আবিদ হোসেন রাব্বি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা হাসপাতাল ঘুরে দেখেছি। ৩২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি মিডিয়াতে আসায় অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তবে একটি বিভাগীয় হাসপাতালে এ ধরণের মৃত্যু স্বাভাবিক হতেই পারে।

তিনি বলেন, আজো এই হাসপাতালে ২৬০ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। মোট দুই সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যা শয্যার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এরপরও এই হাসপাতালটি এ অঞ্চলের আশা-ভরসার শেষ স্থল। এখান থেকেই রোগীরা ভাল হয়ে ফিরছেন। তাই রোগী বেশি হলেও চিকিৎসা দিতে হবে।
 
এরপরও ঘটনার তদন্তে রোগীর ব্যবস্থাপত্র, ব্যবস্থাপনা ও সেবার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের ওই সদস্য বলেন, নিহতরা এক গ্রুপের রোগী নয়, যে কারণে তদন্তে সময় লাগবে।

এনিয়ে তারা স্থানীয় তদন্ত কমিটির সঙ্গেও বসবেন। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গেও আলাপ করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্তে চিকিৎসার ক্রুটি প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবেন তারা।
 
কিন্তু সিলেটবাসীর আস্থার এই হাসপাতালের সুনাম যাতে নষ্ট না হয় সেদিকেও সকলকে খেয়াল রাখতে হবে।

এর আগে তদন্ত দলের সদস্যরা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুস সবুর মিঞার সঙ্গে বৈঠক করেন।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুস সবুর মিঞা জানান, ঘটনার তদন্তে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ইসমাইল পাটোয়ারীকে প্রধান করে শিশু বিভাগের বিভাগীর প্রধান ডা. মনজ্জির আলী এবং আবাসিক চিকিৎসক রঞ্জন কুমার রায়কে দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

এই কমিটিকে সহায়তায় সদস্য সংখ্যা আরো তিনজন বাড়ানো হয়েছে। তারা হলেন, হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেওয়ান আলী হাসান চৌধুরী, গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলীপ কুমার ভৌমিক ও শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মসীহ উদ্দিন চৌধুরী। মন্ত্রণালয়ের তদন্তদল তাদের সঙ্গেও আলাপ করার কথা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।