ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বিচারক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বিচারক ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আসামির জবানবন্দি গ্রহণকারী তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট বর্তমানে ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিনের আদালতে এ সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনি।



আগামি ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।  

এর মধ্য দিয়ে ১০৮তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষী শাহাদাত হোসেন তৎকালীন ঢাকা সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালে মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছিলেন। সে বিষয়ের বুধবার তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে জজ মিয়াসহ মামলার ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।

এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে আছেন।
 
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।