জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করতে এসে তার বন্ধুর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টর। এ ঘটনায় ওই ছাত্রদলকর্মী ও তার বন্ধুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় মার্কেটিং বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পুলিশ নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী ফয়সাল রাব্বী রিয়াদকে আটক করতে যায়।
এসময় সহকারী প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন ছাত্রদলকর্মী রিয়াদ ও তার বন্ধু সনেটকে ধরে বিভাগের বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে সনেট তাকে মুষ্ঠাঘাত আঘাত করেন। এতে তার নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
এ ঘটনার কিছু সময় পর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মার্কেটিং বিভাগের সামনে ভিড় জমায়। বিভাগে সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তারা তল্লাশি করতে চাইলে বিভাগীয় সভাপতি ফারহানা সেহ্রীন বাধা দেন।
ফারহানা সেহ্রীন বলেন, বিভাগে যদি কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবে।
সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ দুই শিক্ষার্থীকে ধরেছিলাম যাতে বাইরের কেউ তাদের উপর হামলা চালাতে না পারে। কিন্তু তারাই আমাদের এক সহকর্মীকে আঘাত করে। এদের সঙ্গে আরো দু’জন ছিল, আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আহমেদ অনিককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫