জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকার ও বিরোধী দলের সকল এমপিই যেখানে বলছেন, খালেদা জিয়া খুনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও বলছেন।
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।
বাদল বলেন, যদি খালেদা জিয়া সিরিয়াল খুনিই হয়, তাহলে তাকে বাইরে রাখা হচ্ছে কেন? তাকে ধরে আনার দায়িত্ব কার? সরকারের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। তাহলে কীসের অপেক্ষায় আছেন? এই বিষাক্ত সাপকে ছেড়ে রাখা যায় না। হয় দমন করতে হবে, নইলে খাঁচায় বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তিটি পুড়িয়ে মানুষ খুন করছেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? খালেদা জিয়া কি আইনের উর্ধ্বে? উনি কি সবকিছুতেই ইম্যুনিটি (দায়মুক্তি) পাবেন? সংসদ কি তাঁকে দায়মুক্তি দিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, একটি আরডিএক্স বিস্ফোরণ ঘটলে দুইশ’ মানুষের জীবন একবারে চলে যাবে। সেই অবস্থার জন্য কি অপেক্ষা করা হচ্ছে? যিনি মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন, তাকে ধরা হচ্ছে না কেন? খালেদা জিয়া সাধারণ নাগরিক হলে প্রত্যেকটা খুনের জন্য হত্যা মামলা করতেই হবে। তিনি দেশের ৬৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। তবু বিএনপি নেত্রীকে ধরতে এতো দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেন? তাকে ধরলে হয়তো ১০টি বোমা বেশি পড়বে, তবুও দেশের মানুষ শান্তি পাবে।
বাদল বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার্য আরডিএক্স সীমান্তে ধরা পড়েছে। বোমাবাজদের সরকার শক্ত হাতে দমন করছে বলেই নতুন উপসর্গ হিসেবে আরডিএক্স আনা হচ্ছে। আমার পৈতৃক বাড়ি যারা পুড়িয়েছে, তাদের ১১ জন ধরা পড়েছে। তাদের ৫-৬ জন স্বীকার করেছে যে, তারা বাড়িটি পুড়িয়েছে। আরও কয়েকজন এমপির বাড়ি পোড়ানো এবং সম্ভব হলে তাদের খুন করারও নির্দেশ আছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আলোচনার সূত্রপাত করে জাতীয় সংসদের নারী হুইপ মাহবুব আরা গিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় পেট্রোল বোমা মেরে সাত জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর দায়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে প্রাণহানি বা সম্পদহানি ঘটলে সেই দলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মসূচি ঘোষণাকারী দলের নেতাদের বাড়ি-সম্পদ বিক্রি করে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫