জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: টিসিবি অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি, আমদানি-রফতানি ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি স্থানীয় বাজার থেকে আপদকালীন মজুদ সৃষ্টির ক্ষমতা দিয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১৫ বিল পাস হয়েছে।
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
এর আগে হাজী সেলিম ও মো. রুস্তম আলী ফরাজী বিলটি সংশোধন ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ হয়ে যায়।
১৯৭২ সালে ‘ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি অর্ডারে এই বিলে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। ৭২’র টিসিবি অ্যাক্টের ৭টি আর্টিকেলে পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান, তিনজন পূর্ণকালীন পরিচালক ও দুইজন খণ্ডকালীন পরিচালক নিয়ে টিসিবি গঠিত হবে। পূর্ণকালীন কর্মকর্তারা কর্পোরেশনের পূর্ণকালীন দায়িত্ব পালন করবেন। টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত বাফার স্টক করবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে কোনো পণ্য ক্রয়, আমদানী ও রপ্তানি ব্যবসা পরিচলনা করতে পারবে। যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির ডিলার নিয়োগ করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত বাফার স্টক (আপদকালীন মজুদ) সৃষ্টি ও প্রয়োজনে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের অধীনে দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে সূলভমূল্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য টিসিবি অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি আবশ্যক। এছাড়া বোর্ডের পরিচালক মনোনয়নের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবিত রূপরেখা কার্যকর হলে টিসিবি’র কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আসবে।
টিসিবি অর্ডার ১৯৭২-এর সংশোধন অতীব প্রয়োজন হওয়ায় বিলটি আনা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৫