ঢাকা: বহুল আলোচিত বিসমিল্লাহ গ্রুপ দুর্নীতির ৬নং মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিবসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কমিশনের নিয়মিত সভায় এ চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
অনুমোদনের বিষয়ে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
এ মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৮ জন এবং প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন হয়েছে। বিসমিল্লাহ গ্রুপের যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান ও চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, এমডির বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল) আবুল হোসাইন চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি ও অথারাইজড সিগনেটরি) আকবর আজিজ মুতাক্কি, ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার ও অথারাইজড সিগনেটরি) রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার হোসেন এবং বে ইয়ার্ন লিমিটেডের মালিক গোলাম মহিউদ্দিন আহম্মেদ।
এছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের যে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপক জিএম শাহাদাৎ হোসেন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) এমএ রহিম, ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন সরদার, এফএভিপি মো. তানজিবুল আলম, সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার আবু সালেহ মো. আরিফুর রহমান।
দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ৬নং মামলাটির তদন্ত করেছেন। বিসমিল্লাহ গ্রুপ দুর্নীতির ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর ৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলো দুদক। ১২ মামলায় মোট ১১শ’ ৭৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছিলো।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৬নং মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক। বাকি ১১টির চার্জশিট পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
তদন্তে বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে বিসমিল্লাহ টাওয়েলস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ও আলফা নিট কম্পোজিট টাওয়েলসসহ কয়েকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ব্যাক টু ব্যাক এলসি, রফতানি বিল ও ইনল্যান্ড বিল পারচেজের (আইবিপি) মাধ্যমে প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এসব টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এ জালিয়াতির ঘটনা পৃথকভাবে তদন্ত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫ আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা