শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবক জয়ফল মিয়ার (২৫) মৃত্যু হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহা আলীর ছেলে জয়ফল মিয়া স্থানীয় ইসলামিক মিশন থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একই গ্রামের মুদি দোকানি নুর আলীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে নুর আলী ও তার ভাই রমজান আলী লাঠিসোটা দিয়ে জয়ফলকে মারধর করেন। পরে জয়ফল বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাবা শাহা আলী ও বকুল মিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে নুর আলীর দোকান ঘিরে ফেলেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রমজান আলী, নুর আলী, তাদের বোন শামছুন্নাহার ও জয়ফল মিয়া গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে পুলিশের সহযোগীতায় নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রমজান আলীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বুধবার দুপুর দুইটার দিকে নুর আলী ও জয়ফল মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে জয়ফলের মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাওদারা কাটাবাড়ী গ্রামের শাহা আলী, নজরুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আব্দুল আজিজ গংদের সঙ্গে রমজান আলীর কাঠ বাগানের কাঠ কাটাকে কেন্দ্র করে বছর খানেক আগে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মিমাংসার জন্য বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও, কোনো সুরাহা হয়নি।
নয়াবিল ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুর রহমান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে জয়ফল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল হক, বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে, নিহত রমজান আলীর বড়ভাই রুহল আমিন বাদী হয়ে ২৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে ওসি জানান। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫