ঢাকা: দেশে মানুষের অধিকার আদায়ের নামে চলছে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিনমজুর মারার কর্মকাণ্ড। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারা হচ্ছে; তবুও খেটেখাওয়া মানুষ ঘরে বসে থাকতে পারে না।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করুন’ দাবিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেন ডেমরার ইমারত শ্রমিক দিনমজুর মো. মোস্তফা (৫৫)।
রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নয়; টাকা দিয়ে কোনো কর্মী নিয়ে নয়, নিজের পরিবারের দুই ছেলে আলামিন, ইয়াছিন, দুই মেয়ে শাহানা, সুমি ও একমাত্র নাতনি সোনামনিকে নিয়ে তিনি এ মানববন্ধন করেন।
মোস্তফা ও তার পরিবারের সদস্যরা কাতর কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, পেটের ক্ষুধার জ্বালায় আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না। না খেয়ে ঘরে বসে থাকার চেয়ে আগুনে পুড়ে মরা অনেক ভালো।
ক্ষুধার্ত পেট নিয়ে দিনমজুর মোস্তফা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন যদি খেটেখাওয়া মানুষের দাবি আদায়ের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে মানুষ পুড়িয়ে মারা বন্ধ করেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দাবি, রাজনীতির নামে আমাদের পুড়িয়ে মারবেন না।
ইমারত শ্রমিক মোস্তফা বলেন, কাজ না থাকায় আমাদের মতো শ্রমিকেরা আজ না খেয়ে মরতে বসেছে। দিন শেষে ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষুধার যন্ত্রণায় পরিবারের সদস্যরা ছটফট করছে।
তিনি বলেন, একদিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা, অন্যদিকে বাড়িওয়ালা ও পাওনাদারের যন্ত্রণা; সব মিলে বাংলার খেটেখাওয়া মানুষ আজ না খেয়ে ও আগুনে পুড়ে মরছে। এ থেকে রক্ষার জন্য দেশের সাধারণ মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরও আমাদের দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য যদি আগুনে পুড়ে মরতে হয়, তাহলে আর আমরা ঘরে বসে, না-খেয়ে মরতে চাই না।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমরা আর আগুনে পুড়ে মরতে চাই না। আমরা স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা নিয়ে কর্ম করে বেঁচে থাকতে চাই। আমাদের বাঁচান! দেশবাসীদের বাঁচান! দোহাই আপনাদের!
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫