ঢাকা: জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার নয়াপাড়া গ্রামের নূর আলীর ছেলে সাফি আলম (২৫)। জীবিকার তাগিদে পারি জমিয়েছেন ঢাকাতে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে তার বসবাস। গ্রামের বাড়িতে থাকেন তার স্ত্রী বীণা খাতুন। রোমান নামে নয় মাসের ফুটফুটে একটি ছেলেও রয়েছে তার। সংসারের চাহিদা মেটাতে তাই রোজ রিকশা নিয়ে ছোটেন শহরের অলিগলি।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রিকশা নিয়ে বের হন সাফি।
যাত্রীদের অপেক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে সন্ধ্যায় বসে ছিলেন তিনি।
হঠাৎ করেই তার কাঁধে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয় তার দেহ থেকে। এ সময় পথচারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জসিম উদ্দিন হলের শিক্ষার্থী কৃতম, ফরহাদ, আবু বকর, জিহাদ এবং অন্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপতালে নিয়ে যান। কথা বলতে চাইলে সাফি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ভাই, প্যাটে ভাত নাই। প্যাটের খিদা কী হরতাল-অবরোধ মানে!’
একজন দিনমজুরের এই করুণ পরিণতিতে সাফিকে উদ্ধার করে আনা ঢাবির শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানান, আন্দোলনের নামে দেশে যে সহিংসতা হচ্ছে, তাতে নিরীহ মানুষই আহত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।
তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলনের অনেক কৌশল আছে। এটা কোন ধরনের আন্দোলন?
যে রাজনীতি অসহায় মানুষের নিদারুণ কষ্টের কারণ হয়, সেই রাজনীতিকে ধিক্কার জানালেন ঢাবির ওই শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৫