গোপালগঞ্জ: ১৩ মাসের শিশুপুত্র জুনায়েদ শেখ ও স্ত্রী রিনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কাশিয়ানীর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের সোহরাব শেখ। ছেলের জন্মের পরে এবারই প্রথম তাকে নিয়ে বাড়ি আসছিলেন তারা।
নতুন অতিথিকে বরণ করে নেওয়ার জন্য বাড়িতে অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধা দাদি ও অন্যান্য স্বজনরা।
কিন্তু পদ্মায় লঞ্চ ডুবিতে এভাবে সন্তান ও স্ত্রীকে হারাতে হবে- তা কী, সোহরাব শেখ জানতে পেরেছিলেন! সন্তান আর স্ত্রীর এভাবে করুণ মৃত্যুর ঘটনায় এখন তিনি পাগল প্রায়। আর সেই সঙ্গে বাড়ির লোকজনের আহাজারিতে পাড়া-প্রতিবেশিরাও চোখের জল আটকাতে পারছেন না।
পদ্মায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত গোপালগঞ্জের তিনজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা তিনজনই কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও জোতকুরা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতরা হলেন-কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের সোহরাব শেখের স্ত্রী রিনা বেগম (২৫), তার ১৩ মাস বয়সের ছেলে জুনায়েদ শেখ এবং একই উপজেলার জোতকুরা গ্রামের লিটু মোল্লার স্ত্রী শাহারা বেগম(৪০)।
এদিকে, প্রিয়জন হারানোর শোকে স্বজনদের কান্নার রোল পড়েছে। ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ-বাতাস। যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি তাদের স্বজনদের ঠিকানা এখন পদ্মার পাড়ে।
বাস কোম্পানির হিসাব মতে, ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কমফোর্ট লাইনের সুপারভাইজারসহ ৪১ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের দিকে আসছিলেন। লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের তারা পরবর্তীতে গোপালগঞ্জে নিয়ে আসেন। তবে, নিহত বা নিখোঁজদের কোনো তালিকা নাই গোপালগঞ্জের জেলা বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫