ঢাকা: বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিরীহ মানুষকে টার্গেট করার কৌশল বা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মতপ্রকাশে বাধাও মেনে নেওয়া যায় না, বলেছেন জন কেরি।
অন্যদিকে, ২০১৫ এর শুরু থেকেই বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে যে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। উন্নয়নের স্বার্থে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ‘কার্যকর পথ’ খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আহ্বানে হোয়াইট হাউজে সহিংস উগ্রপন্থা নির্মূল বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে রয়েছেন এএইচ মাহমুদ আলী।
ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পরে লিখিত বক্তব্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে চলমান সহিংসতার অবসানে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি। বক্তব্যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও গুরুত্ব দেন জন কেরি।
অন্যদিকে বৈঠকের পর জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সহিংসতা থেকে জনগণকে রক্ষার দায়িত্বের কথা সরকারকে ও সকল রাজনৈতিক দলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি এসময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫