মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের নয়জন আহত হয়েছেন।
এ সময় তিনটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর এবং লুট-পাটের ঘটনাও ঘটে।
শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাহারবাটি ফুটবল মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরা হলেন, সাহারবাটি গ্রামের সালেহার বেগম (৩০), ইলিয়াস হোসেন (২২), বসের আলী শেখ (৫০), পারভীনা খাতুন (৩০) মুছা শেখ (৪০), লিংকন (২২), আবু ছলিম (৩৭) কলেজ ছাত্র শাকিল আহম্মেদ (২২) ও খলিলুর রহমান (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা বাংলানিউজকে জানান, বিকেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সাহারবাটি গ্রামের আবু ছলিম ও লিংকনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কিল ঘুষির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় লিংকনের বন্ধু একই গ্রামের বাসন্তিপাড়া এলাকার রমজান আলী কসাইয়ের ছেলে ইলিয়াস হোসেন আবু ছলিমকে মারধর করে। পরে আবু ছলিমের পক্ষের কলেজছাত্র শাকিল আহম্মেদ রমজান আলীর বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গেলে রমজান আলী শাকিল আহম্মেদকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এসময় শাকিলের চাচা খলিলুর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিলুর রহমানের পক্ষের লোকজন রমজান আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় রমজান আলী ও তার পক্ষের আক্তারুল ইসলাম ও ইয়াসিন আলীর বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রমজান আলী।
আহতদের মধ্যে শাকিল আহম্মেদ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খলিলুর রহমানকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বাকিদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) গাংনী ক্যাম্পের একটি দল ও গাংনী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ টহলে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৫