ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর শামসুজ্জোহার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর শামসুজ্জোহার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জ: যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর একেএম শামসুজ্জোহার ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী কোরানখানি, শোক ৠালি, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।



১৯৮৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একেএম শামসুজ্জোহা মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, গণ পরিষদের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সংসদ সদস্য। মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তিনি ২০১২ সালে স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর) লাভ করেন।

সকালে শহরের মাসদাইর পৌর কবরস্থানে জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহা, জেলা যুবলীগ সেক্রেটারি আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপু, মাসুদুর রহমান খসরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে চাষাঢ়ায় মরহুম একেএম শামসুজ্জোহার ঐতিহাসিক বাসভবন ‘হীরা মহলে’ অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং মহাজোটের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন ও বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ট সহচরের জীবদ্দশার বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, একেএম সামসুজ্জোহার বড় ছেলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান, ছোট ছেলে এমপি একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল হাই, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবের সহ-সভাপতি কুতুবউদ্দিন আকসির, ঘাতক দালাল নির্র্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি চন্দনশীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর হোসেন, শ্রমিকলীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ, জাসদ নেতা মোহর আলী চৌধুরী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদল,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বিকেএমইএ লেবার সহ-সভাপতি (অর্থ) জি এম ফারুক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন প্রমুখ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহা পাকিস্তান আমলে সর্বপ্রথম গাড়িতে বাংলা নম্বর লেখা প্রচলন করেন। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর  ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য জনগণের উদ্দেশ্যে ঢাকা বেতার থেকে সরকারের পক্ষে প্রথম ভাষণ দেন তিনি। ওই সময় তিনি বেগম মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম হাইকোর্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহার পিতা মরহুম খান সাহেব ওসমান আলী ছিলেন এমএলএও কারা নির্যাতিত ভাষা সৈনিক এবং সহধর্মিনী নাগিনা জোহা একাধারে কবি ও ভাষা সৈনিক।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।