সিলেট: সারা দেশের সঙ্গে সিলেটেও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা এক মিনিটে সিলেট শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি’র পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়।
পরে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে একে একে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। ফলে অল্পক্ষণেই ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ মিনারের বেদি।
এদিকে শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই জেলা প্রশাসনসহ সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ জানাতে আসছেন শহীদ মিনারে। ফলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে আছে। সারাদিন ধরেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সকালে সিলেটের আকাশে সূর্যোদয়ের আগেই একুশের গানের সুরে প্রভাতফেরি শুরু করে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ। খালি পায়ে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন উদিচি, নগরনাট, উর্ব্বশীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরাও। নগর পরিক্রমা শেষে তারা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল সোয়া ৮টার দিকে শ্রুতির আয়োজনে গৌরবের বাংলা বর্ণমালা হাতে নিয়ে বর্ণমালার মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে তারাও শেষে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে।
এর পরেই মনিপুরীসহ সকল আদিবাসীদের ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ জানায় সিলেটের মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজন। মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী সাজে শিশু-তরুণ-তরুণীরা অংশ নেন শোভাযাত্রায়।
সকাল ১০টায় শহীদ বেদিতে ভাষা সৈনিকদের হাত থেকে হাতেখড়ি নেন ছোট্ট শিশুরা। পাঠশালা’র উদ্যোগে এই আয়োজনে শিশুদের মায়ের ভাষার প্রথম অক্ষর লেখা শিখিয়ে দেন ভাষা সৈনিক প্রফেসর সদর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও প্রফেসর আব্দুল আজিজ।
দিনব্যাপী নগরীর পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫