ঢাকা: সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে তাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এতে তারা বেশ দক্ষ হয়ে উঠবে।
শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) এর উদ্যোগে ‘নিরাপদ নারী অভিবাসন: বায়রা ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আওয়াজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত ও মান সম্পন্ন প্রশিক্ষণের অভাবেই আমাদের নারী শ্রমিকরা ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের তুলনায় পিছিয়ে আছে। বিদেশে যাওয়া নারীর বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলের। তাদের অনেকে
ঢাকা শহরেও আসেননি কোনোদিন। মাত্র ২১ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
‘সেখানে উন্নত যন্ত্রপাতি, ভিন্ন পরিবেশ, খাদ্যাভাস, অপরিচিত ভাষা সব কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে দারুণ অসুবিধায় পড়েন তারা। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তবেই বিদেশে পাঠাতে হবে,’—বলেন তারা।
দুইটি সরকারিসহ মোট ৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সি বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠায় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিদেশে পাঠানোর আগে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেয় সরকার।
‘কিন্তু সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে যেভাবে নারী শ্রমিকদের চাহিদা বাড়ছে তাতে এই চাহিদা মেটানো সরকারিভাবে সম্ভব নয়। তাছাড়া মাত্র ২১ দিনের এই সংক্ষিপ্ত এবং নাম মাত্র ট্রেনিং কোনো কাজেই আসছে না। ’
এ জন্য বেসরকারিভাবে নির্দিষ্ট কারিকুলাম তৈরি করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।
একই সঙ্গে বায়রাকে একসঙ্গে এ সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করার পরামর্শ দেন তারা।
অনুষ্ঠানে এনআরবি-এর চেয়ারম্যান শেকিল আহমেদ, বায়রা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবুল বাশার, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী হায়দার চৌধুরী, আইওএম-এর প্রোগ্রাম অফিসার ম্যাক্সিমিরিয়ান পোটলার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়া বক্তব্য দেন বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫