জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আল কায়দা প্রধান জাওয়াহিরির পথ ধরে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, জাওয়াহিরি তাদের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর ঘোষণার পরে খালেদা জিয়া এ হত্যাকাণ্ড শুরু করে।
২০১৯ সালের আগে নির্বাচন এবং হত্যাকারীদের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন তোফায়েল আহমেদ।
রোববার (০১ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতির আসনে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংসদের মেয়াদ আছে। ২৯ জানুয়ারির ৯০ দিন আগে নির্বাচন হবে। তার আগে কোনো নির্বাচন হবে না। সেই নির্বাচনের জন্য খালেদা জিয়াকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়নের অগ্রগতির অগ্রযাত্রাকে কেউ ব্যহত করতে পারবে না।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, আমরা যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি, তখন খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষ হত্যা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। আজ খালেদা জিয়া সংলাপ সংলাপ করছেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহবান করেছিলেন, তিনি (খালেদা) আসেননি।
যারা নিষ্পাপ শিশু ও গরিব-দু:খী মানুষদের হত্যা করেন তাদের সঙ্গে কখনোই সংলাপ হবে না বলেও জানিয়ে দেন তোফায়েল আহমেদ।
সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়দা প্রধান জাওয়াহিরিন সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এর আগে অনেক আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু অতীতে কোনো আন্দোলনে এভাবে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু আজ আল কায়দা এবং আইএসের মতো নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে আল কায়দা প্রধান জাওয়াহিরি বলেছিলেন, ‘আমাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করবো। এই নেটওয়ার্কের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে’। আজ খালেদা জিয়া সেই আল কায়দা ও আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মানুষ হত্যা করছেন। তিনি জাওয়াহিরির পথ বেছে নিয়েছেন। যখন জাওয়াহিরি ঘোষণা দিলেন আল কায়দার তৎপরতা বাড়ানো হবে, তখনই খালেদা জিয়া এ হত্যাকাণ্ড শুরু করে দিলেন।
তোফায়েল আহমেদ সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন আমেরিকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল, নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিল। আজ উন্নয়নের সব সূচকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম। বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি রুপি ধার করে। আজ বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তখন খালেদা জিয়া কি করছেন? নিষ্পাপ শিশুকে পেট্রোল বোমা মেরে হত্যা করছেন। গরিব ড্রাইভার যারা দিন আনে দিন খান, তাদের হত্যা করছেন। আজ তাদের হরতাল-অবরোধ মানুষ মানছে না। এমনকি বিএনপি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানেও কাজ হচ্ছে, এগিয়ে চলছে। শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তোফায়েল বলেন, খালেদা জিয়ার নিষ্ঠুরতা আজ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ফ্রান্সে, অস্ট্রেলিয়ায়, কোপেনহোগেনে যারা সন্ত্রাসী আক্রমণ করেছে, তাদের গুলি করে মেরে ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা আক্রমণ করে তাদেরও গুলি করে মেরে ফেলে। কিন্তু আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
** ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট বিল পাস
** আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে স্বতন্ত্র সাংসদের প্রশ্ন
** মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা সুদে ঋণ
** আয়ের চেয়ে বকেয়া দেড়গুণ
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫