জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও সম্পদের যথাথযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট বিল’২০১৫ পাস হয়েছে।
রোববার (০১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াসেফ ওসমান।
আলোচনা শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে দেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদে উপস্থিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে সর্বাধিক ভোটে বিলটি পাস হয়।
চলতি অধিশেনের ২৫ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়। আইনটি ২০১৪ সালের ৩০ জুন মন্ত্রিসভা বৈঠকে কিছু সংশোধনীসহ চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। আইনটির খসড়া ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়। আইনটিতে মুখবন্ধসহ ২১টি ধারা রয়েছে।
পাসকৃত বিলে বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সরকারি-বেসরকারি যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে এ ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদন নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
বিলে আরো বলা হয়েছে, এই ইন্সটিটিউটটি পরিচালিত হবে সরকার মনোনিত ১৭ সদস্যের একটি বোর্ড দ্বারা। ৩ বছরের জন্য বোর্ডের সদস্যরা নিয়োগ পাবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব বোর্ডের সভাপতি। ইন্সটিটিউটের মহারিচালক বোর্ডের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। ইন্সটিটিউটটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভৌত, ভূতাত্ত্বিক, রাসায়নিক, জৈব, জলবায়ু পরিবর্তন ও তৈল দূষণ ঝুঁকি নিরূপণসহ সমুদ্র বিদ্যার সকল বিষয়ে গবেষনা ও অধ্যয়ণের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা কাঠামো এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য আইনি কাঠামো প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট আইন’২০১৩ এর খসড়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫