ঢাকা: অপরাধ সংঘটন ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের উস্কানি দেয়- এ রকম হরতালের প্রচার থেকে বিরত থাকতে সকল ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে হরতালের (সহিংস) ঘোষণা প্রচার অপরাধের উস্কানি হিসেবে কাজ করে কি-না, এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি-না সেটা খতিয়ে দেখে যদি এ কাজ করে তাহলে এটাকে (হরতালের প্রচার) বন্ধ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়ীদের চারটি শীর্ষ সংগঠনের দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২ মার্চ) এসব রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সরকার ও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোসহ ৪৮ জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে ইমতিয়াজ মইনুল সাংবাদিকদের জানান, আদালত নয়টি রুল জারি করেছেন। এর মধ্যে অপরাধ সংঘটন ও মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের উস্কানি দেয়- এ রকম হরতালের প্রচার থেকে বিরত থাকতে সকল ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গণমাধ্যমে হরতালের (সহিংস) ঘোষণা প্রচার অপরাধের উস্কানি হিসেবে কাজ করে কি-না, এটা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কি-না সেটা খতিয়ে দেখে যদি এ কাজ করে তাহলে এটাকে (হরতালের প্রচার) বন্ধ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
অন্য রুলগুলো হলো- অবরোধকে কেন অসাংবিধানকি ঘোষণা করা হবে না, হরতালের ওপর আইনগত বিধি-নিষেধ আরোপ করার ক্ষেত্রে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, যৌক্তিক সময় না (আগাম সময়) দিয়ে হরতাল আহবান করাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, হরতাল-অবরোধে (৬ জানুয়ারি থেকে যতোদিন হরতাল-অবরোধ চলে) ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ঋণখেলাপি হওয়া সংক্রান্ত ক্রেডিট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’র (সিআইবি) তালিকা স্থগিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, হরতাল-অবরোধের সময়ে ব্যাংক ঋণের সুদ স্থগিত রাখার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণের ক্ষেত্রে বড় ব্যবসায়ীদের মতো(১২ বছরের জন্য সকল ঋণকে পুনঃতফসিল করা) কেন সুযোগ দেয়া হবে না, হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণে কেন সরকার একটি ফান্ড গঠন করবে না, হরতাল-অবরোধে ক্ষতির জন্য কেন সকল রাজনৈতিক দল দায়ী হবে না, আর এর জন্য ক্ষতিপূরণ চাইতে কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী চারটি সংগঠন হচ্ছে- এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমইএ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫