ঢাকা: কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকার সামাজিক উন্নয়ন তহবিল গঠন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১৫’র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। নীতিমালা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ পয়সা বাড়তি নেবে কোম্পানি।
সোমবার (০২ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রানুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার ও ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। এ বিদ্যুতের অর্ধেকই হবে কয়লা বিদ্যুৎ। যেসব এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, সেসব এলাকায় এ তহবিলের অর্থ স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হবে।
এ তহবিল ব্যবহারের জন্য প্রতিটি এলাকায় কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে কোম্পানি এবং জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। তারাই এ তহবিল পরিচালনা করবেন।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, তহবিলে এ অর্থের যোগান দেবে কোম্পানি। এ জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি কিলোওয়াটের জন্য অতিরিক্ত তিন পয়সা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আইন ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের সামরিক শাসনের সময়কালের অধ্যাদেশটি বাংলায় অনুবাদের বাধ্যবাধকতা ছিল। মূল আইনে অনুমোদিত মূলধন ছিল এক কোটি টাকা। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এক জন চেয়ারম্যান এবং পাঁচ জন সার্বক্ষণিক ও দু’জন খণ্ডকালীন পরিচালক ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ পাঁচ জনের স্থলে সাত জন সার্বক্ষণিক পরিচালকের পদ সৃষ্টির জন্য সুপারিশ করেছে।
করপোরেশনে পেশাদার হিসাব কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য প্রস্তাব জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫