ঢাকা: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ফেসবুকে হত্যার হুমকির বিষয়টি স্বীকার করেছেন এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন আসামি শফিউর রহমান ফারাবী।
ইসলাম ‘বিরোধী’ মন্তব্য করায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে অভিজিৎকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন ফারাবী।
সোমবার (০২ মার্চ) দুপুরে র্যাব সদর দফতরে এক সংবাদ সমম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলেন, অভিজিৎ রায় হত্যার দুইঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এ খুনের দায় স্বীকার করে টুইট করে আনছারুল্লাহ বাংলা সেভেন নামে একটি সংগঠন।
‘এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিজিতের ফেসবুক পর্যালোচনা করে দেখতে পাই, শফিউর রহমান ফারাবী নামে এক তরুণ বিভিন্ন সময় অভিজিতের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন,’—বলেন তিনি।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, নিহত অভিজিতের বাবা দাবি করেছেন-তার ছেলেকে দেড় বছর ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন শফিউর রহমান ফারাবী।
‘গত এক বছরে ফারাবীর ফেসবুক স্ট্যাটাসেও হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে বলে দেখা যায়। ফারাবি মান্নান রাহী নামে এক ফেসবুক ফ্রেন্ডকে লেখেন ‘অভিজিৎ এখন আমেরিকায়। তাকে এখন হত্যা করা যাবে না। তবে সে যখন দেশে আসবে তখনই হত্যা করা হবে,’—যোগ করেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
তবে অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ফারাবীকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, শফিউর রহমান ফারাবী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলেও স্নাতক সম্পন্ন করতে পারেননি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ফারাবী। এর আগেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের ঘটনার কারণে গ্রেফতার হন তিনি।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বই প্রকাশ ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক দেশে ফিরেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ রায়।
এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসির সামনে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী বন্যাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫ , আপডেট ১৫৫৪ ঘণ্টা
** অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে ফারাবি আটক