ঢাকা: এ সম্মান শুধু আমার একার না। এ পুরস্কার আমার মতো সব প্রতিবন্ধী ও সংগ্রামী বোনদের, যারা এ দেশের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) বিকেলে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ আয়োজিত শীলু আবেদ কারুশিল্প পুরস্কার-২০১৫ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পী ছাফিয়া বেগম আজীবন সম্মাননা পেয়ে এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
ছাফিয়া বেগম বলেন, অল্প বয়সে বাবা-মা মারা যায়। তারপর থেকেই আমি এ কাজ করে ভাই-বোনদের বড় করেছি। কখনো ভাবিনি এ কাজ করে এত বড় সম্মাননা পাব।
তিনি বলেন, এ পুরস্কার গাড়ালিয়া মহিলা সমিতির প্রত্যেক সদস্যদের, যারা যেকোনো প্রয়োজনে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আমাকে কাজ করতে সাহায্য করেছেন।
কোর-দি জুট ওয়ার্কস-এর অবদানের কথা উল্লেখ করে এ কারুশিল্পী বলেন, কোর-দি জুট ওয়ার্কস আমার জীবন চলার শক্তি। এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য আমাদের মতো অবহেলিত নারীদের উন্নয়ন করা। আমি মনে করি, তা সত্যিই সফল হয়েছে।
এবছর কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য মোট ছয়জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ছাফিয়া বেগমকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন গাজীপুরের সরলা বেগম, ঢাকার আনোয়ারা বেগম ও রাজিয়া বেগম, বরিশালের মেরেজান বেগম এবং মেহেরপুরের সন্ধ্যা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ কারুশিল্পী মালেকা খান বলেন, শীলু আবেদ খুব সাদাসিধে জীবন–যাপন করতো। সে দেখতে যেমন সুদর্শনা ছিলো, তেমনি তার মনটাও ছিলো সুন্দর। যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম, তখন যেকোনো কঠিন সিন্ধান্ত নিতে শীলু সাহায্য করতো।
জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি চন্দ্রশেকর সাহা বলেন, শীলু আবেদ স্বপ্ন দেখতেন, স্বপ্ন দেখাতেন। স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসতেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেও ভালোবাসতেন।
তিনি বলেন, তার হাত ধরেই আড়ং এখন একটি বড় ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫