সারিয়াকান্দি (বগুড়া): বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চলতি মৌসুমে মচিরের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
উপজেলার কাজলা, চালুয়াবাড়ী, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, হাটশের ও সারিয়াকান্দি ইউনিয়নের যমুনার চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা লাল টোবা মরিচ ৮/৯শ টাকা মণ দরে এবং শুকনো মরিচ মান ভেদে ৫/৬ হাজার টাকা মণ দরে বাজারে বিক্রি করছে।
কাজলা চরের মরিচ চাষী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে ১৫ বিঘা জমিতে মরিচ করেছেন। কামলা, সার, বীজ, চাষ খরচ বাবদ বিঘা প্রতি তার ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
প্রতি বিঘায় ৫/৬ মণ করে শুকনো মরিচ উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান। বর্তমান সারিয়াকান্দির বিভিন্ন হাট বাজারে শুকনো মরিচ মান ভেদে ৫/৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে তার ১৫ বিঘা জমির উৎপাদিত মরিচ থেকে মোটা অংকের টাকা আয় হবে বলে জানান।
উপজেলা বোহাইল ইউনিয়নের শংকরপুর চরের কৃষক সামচুল আলম বলেন, চলতি মৌসুমে তিনি ৭ বিঘা জমিতে থেকে ৩০ মণ শুকনো মরিচ পেয়েছেন। এখন ওই মরিচ দেড় লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলার উৎপাদিত মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটসহ দেশের বড় বড় আড়ৎ গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে বগুড়ার সারিয়াকান্দির মরিচের খ্যাতি থাকায় পাবনার স্কয়ার কোম্পানি, প্রাণ গ্রুপ, বিডি ফুডসহ বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিয়োজিত এজেন্টের মাধ্যমে সারিয়াকান্দির মরিচ সংগ্রহ করছে। এ মরিচ প্রক্রিয়াজাত ও মসলা আকারে উৎপাদন করে দেশে ও বিদেশে রফতানি করছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুত জামান বাংলানিউজকে বলেন, কৃষকদের পরিশ্রম, অনুকূল আবহাওয়া ও কৃষি অফিস থেকে নিবীর তদারকি করায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫