ঢাকা: সম্প্রতি প্রকাশিত সুন্দরবনের তেল বিপর্যয় সংক্রান্ত জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকারের সমীক্ষা প্রতিবেদনকে অপর্যাপ্ত ও অবৈজ্ঞানিক উল্লেখ করে, এ প্রতিবেদনকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
একই সঙ্গে প্রতিবেদনে ‘সুন্দরবনের তেমন ক্ষতি হয়নি’ বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৬ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন দু’টির পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কলাম লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাপার সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন, সদস্য শেখ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য শরীফ জামিল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দুর্ঘটনার ১৪ দিন পর (২৩ ডিসেম্বর) যৌথদল কাজ শুরু করে। মূলত ঐ মুহূর্তের দৃশ্যমান আলামতের ভিত্তিতে এ রিপোর্ট প্রদান করেন তারা। এ দীর্ঘ সময়ে জোয়ার-ভাটায় ভেসে যাওয়ার পর অবশিষ্ট তেল-দর্শন ভিত্তিক হওয়ার ফলে কোনোভাবেই এটি যথাযথ সমীক্ষা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এছাড়া সার্বিক পর্যালোচনার জন্য গঠিত চারটি উপদলের মোট ১৮ জন বিশেষজ্ঞের মধ্যে মাত্র ২ জন বিদেশি বিশেষজ্ঞ থাকায় এ প্রতিবেদনে প্রচ্ছন্ন সরকারি প্রভাব প্রতিয়মান হয় বলেও লিখিত বক্তব্যে বলা হয়।
অবিলম্বে যথাযথ বিজ্ঞান ও বাস্তবভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে তেল বিপর্যয়ের কারণ ও ক্ষতি নিরুপণ করে তা মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও তাগিদ দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫