খুলনা: সারা রাত বৃষ্টিতে ভিজে বউ-বাচ্চা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। বালির মাঠে বসে আল্লাহকে ডাকি।
এভাবেই নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বাংলানিউজকে বলছিলেন খুলনা রেলওয়ে কলোনির বস্তিবাসীরা। তাদের অনেকেরই মাথা গোজার ঠাঁই বর্তমানে ঝুপড়ি ঘর।
আধুনিক রেলস্টেশন করার জন্য গত ০৩ মার্চ থেকে রেলওয়ে কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এসময় বিপাকে পড়েন রেলওয়ে কলোনির প্রায় ২শ’ ব্যবসায়ী ও সেখানে বসবাসরত শত শত বস্তিবাসী। তারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় শেরে বাংলা রোডের রড সিমেন্টের দোকানের মালিক আখতার হোসেন বিতুর।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে যতগুলো দোকান সব লাইসেন্স করা। এখানে প্রায় ২শ’র মতো দোকান ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আমরাই কী শুধু ভাঙার আওতায় পড়লাম! বুলডোজার শুধু আমাদের উপর চালানো হলো!
তিনি আরও বলেন, এখানে যারা ব্যবসা করতেন তারা এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এখানে চায়ের দোকান, কাঠের দোকান, ট্রান্সপোর্ট, ব্যাটারি সার্ভিসিং, কোচিং সেন্টার, ব্যাটারি-চার্জারসহ মাংসের দোকান ছিলো। এসব দোকান ভেঙে দেওয়াতে আমরা এখন না খেয়ে মরছি। আমাদের এখন বসতবাড়ি নেই, থাকার জায়গা একমাত্র খোলা আকাশের নিচে বালির মাঠ।
কথা হয় হাসান আলীর সঙ্গে, আমার বসত বাড়ি বলতে কিছুই নেই। যদিও কোনোরকমে মাথাগোজার একটু জায়গা জুটিয়েছিলাম, তাও আর থাকলো না।
এ বিষয়ে কথা হয় বিভাগীয় স্টেট অফিসার (পাকশী) মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে।
তিনি জানান, তারা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই উচ্ছেদের বিষয়ে মাইকিং ও নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন। এছাড়া এক বছর আগে থেকে এখানে যারা থাকেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫