ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৫
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু ও আজকের বাংলাদেশ

৭ মার্চ বাঙালীর মুক্তি সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা পৃথিবীর ইতিহাসে মুক্তিকামী মানুষের এক ঐতিহাসিক দলিল।



প্রকৃতপক্ষে এ ভাষণের মাধ্যমেই সূচনা হয়েছিল আমাদের মুক্তি সংগ্রাম। এতে ছিল জাতির সম্ভাব্য ভবিষ্যতের সব ধরনের দিক নির্দেশনা। নিঃসন্দেহে ২৬ মার্চ ওই ভাষণেরই আনুষ্ঠানিক পুনরাবৃত্তি। এদিক থেকে স্বাধীনতার মহান নায়ক বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসেও এক অনন্য মুক্তির সনদ ।

কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৪৩ বছর পর আজ আমরা কী দেখছি? বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নে সেদিন ভাষণ দিয়েছিলেন এবং দেশ স্বাধীন করেছিলেন আমরা কী তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? না সেই সময়কার পাকিস্তানীদের মতো আজো তাদের প্রেতাত্মারা দেশের উন্নয়নের গতিকে নানা ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ করে রেখেছে। বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করছে দেশের অগ্রযাত্রা। ফলে আজকের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ই মার্চের ভাষণ ও ভাষণের চেতনা নিয়ে আলোচনা বেশ প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছি।

১৯৭১ সাল আমার তখন ১২ বছর, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। তবে বাবা বঙ্গবন্ধুর সাথে সরাসরি রাজনীতি করার কারণে আমরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সহজেই অবগত থাকতাম।

প্রসঙ্গত, বহু আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৭০ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। স্বাভাবিকভাবেই তারা সরকার গঠন করবে। কিন্তু তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে যে কোনোভাবে ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে।

যতদূর মনে পড়ে তাতে, বঙ্গবন্ধুর অনড় অবস্থানে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে ১ মার্চ এই অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩ মার্চ পল্টন ময়দানের বিশাল জনসভায় পূর্ব পাকিস্তানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে পাকবাহিনী নির্বিচারে জনতার উপর নির্যাতন চালায়। রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরের রাজপথ।

মূলত: এই পটভূমিতেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন। এরপরের ঘটনাপ্রবাহ তো আমাদের সবার জানা।

১৯ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালীর মুক্তি সংগ্রাম ও অধিকারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক লক্ষ্যণীয়। প্রথমত: বিখ্যাত এই ভাষণটি ৭ কোটি বাঙালির স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহাকে চাঙ্গা করেছিল। দ্বিতীয়ত: পৃথিবীর সেরা ভাষণগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম, কেননা, এ ভাষণে বঙ্গবন্ধু শোষিত  বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তৃতীয়ত: পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে পূর্ব-পাকিস্তানিরা যে স্বাধীনতার স্বপ্ন লালন করেছিল, সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন যে অবশ্যম্ভাবী সেটা স্পষ্ট হয়েছিল ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে। এর সূত্র ধরেই ৭ কোটি বাঙালীর প্রচেষ্টায় এনেছিল আকাঙ্খিত স্বাধীনতা। চতুর্থত: ভাষণে ছিল এদেশের নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির দিক নির্দেশনা। পঞ্চমত: এই ভাষণের অন্যতম দিক ছিলো- অহিংস আন্দোলনের দিক নির্দেশনা- তিনি বলেছিলেন, গরীবের যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে সেইজন্য অন্যান্য যে সমস্ত জিনিস আছে সেগুলোর হরতাল কাল থেকে চলবে না। রিকশা, ঘোড়ারগাড়ি, রেল চলবে, লঞ্চ চলবে- শুধু সেক্রেটারিয়েট, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জজকোর্ট, সেমি গভর্নমেন্ট দপ্তরগুলো, ওয়াপদা কোন কিছু চলবে না।

বঙ্গবন্ধুর সেদিনের ভাষণের গুরুত্ব স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়েই বিলীন হয়ে যায়নি বরং তাতে বর্তমান বাংলাদেশের প্রতিটি বাঙালির চলার পথের দিক-নির্দেশনা, অনুপ্রেরণা আজও চির অম্লান।

ইতোপূর্বে এ ভূখণ্ডের জনতা এক রেঁনেসায় অংশ নিয়ে ’৪৮, ’৫২, ’৬২, ’৬৬, সবশেষে ৬৯’ এ ২৩ বছর ধরে যে মহাজাগরণের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল। তার চূড়ান্ত পরিণতি হয় ১৯৭১ এ।

কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৪৪ বছর পর আমরা কী দেখছি- রাজনীতি ও আন্দোলনের নামে চলছে সহিংসতা, অধিকার আদায়ের নামে অধিকার হরণ, জনগণের স্বার্থ রক্ষার নামে নিজেদের রক্ষায় সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, নিজ দেশের নাগরিককে নৃশংসভাবে পেট্রোল বোমা পুড়িয়ে এবং ধারালো অস্ত্রে ছুরিকাঘাত হত্যা করা হচ্ছে। অর্থাৎ মানুষের রক্তে গড়ে উঠা গণতন্ত্রকে হত্যার এক মহোৎসব।

গত দুই মাস ধরে বিরোধী জোটের টানা হরতাল-অবরোধে মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়া সব কিছুই বন্ধ। বোমা-পেট্রোলের আগুনে জ্বলছে যানবাহন, পুড়ছে সম্পদ, বোমায় ঝলসে হতাহত হচ্ছে শত শত মানুষ। মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চলছে দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ । কোনো মতেই যেন থামছে না তাদের এই খেলা। আর আমরা মানুষের আকাশভারী করা আর্তনাদ সহ্য করে যাচ্ছি। একবিংশ শতাব্দীর এই সভ্য সমাজে এমন নৃশংস হত্যা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য দেখছি আমরা!

এই অপরাজনীতির বোমার আগুনে ঝলসে ইতোমধ্যে ৬২জন নিরীহ মানুষ মারা গেছে। কয়েক শত মানুষ বোমার আঘাতে ঝলসে অসহ্য মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর‍াচ্ছেন। এছাড়া ১৩১৭টি যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, সরকারি হিসেবে ইতোমধ্যে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষা বারবার পেছানো হচ্ছে । ১৫ লাখ পরীক্ষার্থী চরম আতঙ্কের মধ্যে সপ্তাহের শুধু শুক্রবার-শনিবারে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এর আগেও অনেক আন্দোলন হয়েছে। বিভিন্ন দল মিলে দীর্ঘ কয়েক বছর স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তখন তো এভাবে বোমায় পুড়িয়ে মারা হয়নি নিরপরাধ মানুষকে। তখনও তো পাবলিক পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু এমন তো দেখেনি দেশবাসী।   

কিন্তু এই বোমা-ককটেল ও হিংস্রতার হানাহানি দেখে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষার্থীরা কী শিখবে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে? মানবতা কিংবা দেশ-জাতির স্বার্থের চেয়েও যেন ক্ষমতার স্বাদটাই বেশি উপভোগ করতে চাচ্ছেন ওরা। ক্ষমতার স্বাদ এতটাই প্রিয় যে, দেশ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে হবে!

এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, বেগম খালেদা জিয়ার আদেশে, পরামর্শে কিংবা প্ররোচনায় তাঁর দলের ছেলেরা বাসে, ট্রাকে, লঞ্চে আগুনবোমা ছুড়ছে। মানুষ মরছে। বোমা ছুড়তে গিয়ে ধরা পড়ছে পুলিশের হাতে তার দল ও জোটের লোকেরাই।

মিডিয়ায় দেখেছি খালেদা জিয়া মুখে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন। অথচ তাঁরই দেয়া কর্মসূচীতে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে উল্লাস করছে। তিনি কি তাঁর দলের লোকেদের বোমা বানাতে, বা বোমা ছুড়তে নিষেধ করেছেন? এই যে চোখের সামনে মানুষকে আগুনে ঝলসে দেওয়া হচ্ছে, পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, তিনি কি কেঁদেছেন কারও জন্য? তিনি কি অনুশোচনা করেছেন, দুঃখ করেছেন, কাউকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন, বন্ধ করেছেন হত্যার খেলা? না করেননি। কারণ তিনি ভেবেছেন এভাবেই মানুষের জানমাল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিলেই তাঁর পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব।

আর আগুন-বোমায় মারা যাওয়া মানুষের বেশির ভাগই গরিব-দু:খী। ওই গরিব মানুষগুলো কারও না কারও সন্তান। ওদের রোজগারেই হয়তো সংসার চলতো। ওদের মৃত্যুতে পরিবারগুলো কত সর্বনাশ হয়েছে। জ্বলে যাওয়া পুড়ে যাওয়া মানুষগুলো আর ফিরে পাবে না তাদের আগের স্বাভাবিক জীবন। হয়তো পঙ্গু হয়ে বাকি জীবন বেঁচে থাকতে হবে। যদি প্রশ্ন করি- ওদের এই পরিণতির জন্য দায়ী কে? অবশ্যই সবার কাছ থেকে জবাব মিলবে, এর জন্য দায়ী আজকের রাজনৈতিক হানাহানি। এভাবেই ওরা অসহায় নিরাপরাধ মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে পঙ্গু করে মেরে ক্ষমতার গদি দখল করতে চান। আমরা এ ধরনের পুড়িয়ে মানুষ মারার অপরাজনীতির ধিক্কার জানাই। ঘৃণা করি ওইসব সন্ত্রাস-অপরাধ নির্ভর রাজনীতিবিদদের।

আজও বঙ্গবন্ধুর নামটি উচ্চারিত হলে শ্রদ্ধায় হৃদয় বিনয়াবনত। যেন অনুভব করি, আজও বজ্র কন্ঠে ঘোষণা করছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ যতবার শুনি ততবার নতুন করে শিহরণ অনুভূত হয়। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে আমাদেরকে শিখিয়েছিলেন সহনশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা। দিয়েছিলেন ন্যায়ের পক্ষে জীবন বাজি রাখার প্রেরণা। বিশ্বের সকল বাঙালীকে তার অমোঘ ঘোষণার মাধ্যমে শিখিয়েছিলেন কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ এবং অন্যায়কে প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু তার বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন এই বলে, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল- প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো, তোমাদের যা কিছু আছে, তা দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করত হবে । ’

প্রকৃত বিচারে ৭ মার্চের ভাষণের হাত ধরেই আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড-বাংলাদেশ। জাতি হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ, বঙ্গবন্ধুকে ও তাঁর আদর্শকে যথাযথভাবে ধারণ করতে পারিনি। অথচ বিশ্ববাসী তাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করতে একটুও ভুল করেনি। তার ৭ মার্চের ভাষণটি স্থান পেয়েছে দুনিয়া কাঁপানো ভাষনগুলোর শীর্ষের দিকে। এমন কি স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আজও পৃথীবির কোন মহান নেতা সংক্ষিপ্ত সময়ে এত তাৎপর্যমন্ডিত ভাষণ দিতে পারেন নি। রাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা ইউএসবি (USB) বঙ্গবন্ধুকে `World political poet’ উপাধিতে ভূষিত করেছে। সুতরাং ৭ মার্চের ভাষণের প্রেরণায় উজ্জীবিত হোক গোটা দেশ, সমগ্র বাঙালী সমাজ। স্বাধীনতা অর্জনের মানসে উৎসর্গিত ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের তাজা খুন এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম যেন বৃথা না যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বাধীনদেশের ১৬ কোটি মানুষ যেন হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারি, এই হোক ২০১৫ সালের ৭ মার্চের প্রারম্ভে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের শিক্ষা এবং আমাদের শপথ।

তাই ২০ দলীয় জোটের নেতানেত্রীদের প্রতি আহবান রাখবো অবিলম্বে মানুষ মারার রাজনীতি, হানাহানি বন্ধ করেন, অহিংস গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসুন। অন্যথা দেশবাসী আপনাদের ক্ষমা করবেনা। সরকারের প্রতি আহবান জানাবো- মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ফলে যারাই এ ধরনের অপরাধ করুক না কেন তা কঠোর হস্তে দমন করুন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করুন। সেই সাথে দেশবাসীকে এসব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ৭ মার্চের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আবারো সোচ্চার ও শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি।


লেখক: অ্যাড. এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন
সাবেক মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
ই-মেইল: khzaman_liton@yahoo.com,
ফোন: ০১৭১১৮১০৯৭০

বাংলাদেশ সময় ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।