ঢাকা, বুধবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

উন্নয়নকর্মীর ভূমিকায় স্পিকার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৫
উন্নয়নকর্মীর ভূমিকায় স্পিকার! ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সার্পোট সেন্টারে কল করলেন এক নারী। বর্ণনা করলেন তার নির্যাতনের করুণ কাহিনী।



আর এ সাপোর্ট সেন্টারের দেখাশুনা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি ওই নারীর কষ্টের কথা শুনে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। তাকে উদ্ধার করার কথাও বললেন তিনি। কিন্তু স্বামীর ভয়ে ওইখানে যেতে মানা করলেন নির্যাতিত নারী।

বললেন, ‘তোমরা জানো না আমার স্বামী কত ক্ষমতাবান। তোমরা এখানে এসো না। ’ এভাবে নিত্যদিন নিজের অত্যাচারের বর্ণনা তুলে ধরে সান্ত্বনা খুঁজে ফেরেন।

এভাবে চলে গেল একটি বছর। প্রতিদিন ফোনালাপে কষ্টের দিনগুলোর কথা জানিয়ে যেন মানসিক প্রশান্তি পেতেন ওই নারী। সাপোর্ট সেন্টারের কেউ সহায়তা করতে চাইলেও তা না নিয়ে নীরবে সয়ে যান পাষণ্ড স্বামীর সব অত্যাচার।

কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন বন্ধ হয়ে গেল ওই নারীর ফোন। শত চেষ্টা করেও নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলতে পারেননি ড. শিরীন শারমিন। এমনকি কোনো সহযোগিতাও করা হয়নি তাকে।
 
নির্যাতিতাকে সহায়তা না করতে পারলেও প্রতিদিনই কোনো না কোনো অসহায় নারীকে সাহায্য করছেন তিনি!
 
বিশ্বের আলোকিত সাত নারীর জীবন নিয়ে লিখিত নাটক ‘সেভেন’এ এভাবেই নির্যাতিতদের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। পঠনধর্মী ওই নাটকে নারী উন্নয়ন কর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রাশিয়ার আলোচিত নারী উন্নয়ন কর্মী মেরিনা পিসক্লাকোভা-পার্কারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্পিকার। ১৯৯৩ সালে নানা প্রতিকূলতার মুখে নিজগৃহে নির্যাতিতাদের সহায়তায় চালু করেন সার্পোট সেন্টার।

যা বর্তমানে ‘সেন্টার আন্না’ না ধারণ করেছে। মেরিনা পিসক্লাকোভা-পার্কার এই সেন্টারের মাধ্যমে রাশিয়ার লাখো নারীকে নানা ধরনের সমস্যা সমাধান করেছেন।

‘সেভেন’ নাটকটি নাইজেরিয়ার হাফসাত আবিওলা, কম্বোডিয়ার মু সোচুয়া, গুয়াতেমালার অ্যানবেলা ডে লিওন, উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইনেজ ম্যাক করম্যান, আফগানিস্তানের ফরিদা আজিজি, রাশিয়ার মেরিনা পিসক্লাকোভা-পার্কার ও পাকিস্তানের মুক্তার মাই এর জীবনকে ভিত্তি করেই লেখা হয়েছে।

সুইডিশ প্রযোজকের এই নাটকটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নানা শহরে উপস্থাপন করা হবে। এতে সহযোগিতা করছে ন্যাশনাল ট্যুরিং থিয়েটার ও সুইডিশ ইনস্টিটিউট। প্রামাণ্যচিত্রে খ্যাতিমান সাত নারীর চরিত্রে অভিনয় করে তাদের কর্মকাণ্ড উপস্থান করছেন বিভিন্ন দেশের নারীরা।
 
শুক্রবার (০৬ মার্চ) রাজধানীর ছায়ানট মিলনায়তনে ইউএন ‍উইমেনের উদ্যোগে প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

নাটকে হাসনাত আবিওলার ভূমিকায় ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এস্কজার, মু সোচুয়ার ভূমিকায় ভুটানের রাষ্ট্রদূত প্রেমা সুদেন, অ্যানুবেলা ডে লীওনের ভূমিকায় মেরেতে লুনডেমো, আইনেজ ম্যাক-করম্যাকের ভূমিকায় অ্যাকশন এইউ বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবির, ফরিদা আজিজির ভূমিকায় বাংলাদেশের রোকেয়া আফজাল রহমান এবং মুক্তার মাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়েঞ্জা ক্যাম্পস দা নোব্রেজা।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।