ঢাকা: বিএনপি এখন পিকিংপন্থি টেরোরিস্ট এবং ইসলামপন্থি টেরোরিস্টদের হাতে বন্দি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর হোটেল লেক শো’রে রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরএটিআরআই) আয়োজিত ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরএটিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার। আলোচনা সঞ্চালনার দায়িত্বে আছেন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা।
ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপির এই করুণ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এখন কনসালট্যান্ট দরকার।
তিনি বলেন, চলমান সহিংসতায় কারা জড়িত বিষয়টি প্রমাণিত। এই সহিংসতা ঠেকাতে হলে সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন ঠেকানো জরুরি।
জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকবার বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে, জড়িতদের আটক করতে। সন্ত্রাসবাদের উৎস রাষ্ট্রায়ত্ব করার জন্যও বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকার শুনছে না। অর্থের উৎস বন্ধ করতে না পারলে সন্ত্রাসবাদ ঠেকানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোন পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল যাচ্ছে, তা মনিটরিং করা হোক। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সংলাপ প্রসঙ্গে হতাশা ব্যক্ত করে ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলিল-ভূঁইয়ার সংলাপ দেখেছি। ফলাফল জিরো।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে শর্ত দিয়েছিলেন। তেমনি আজকের দিনের সংলাপে শর্ত হতে হবে। ১০ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে আরও কতগুলো অস্ত্র এসেছিলো, সেগুলো এখন কোথায় আছে। এর রুটগুলো বন্ধ করতে হবে।
গোলটেবিলের আলোচক প্যানেলে আছেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আহিদুজ্জামান চাঁন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।
কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, আবু হেনা, শহীদুল হক জামাল, গোলাম মাওলা রনি ও বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ প্রমুখ।
সাংবাদিক ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স ম রেজাউল করিম, এম এম আমিনুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. মহসিন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি এসএম আসলাম সানি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের বিশেষ উপদেষ্টা আব্দুল মতলুব আহমেদ, উইমেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন ও আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
এই গোলটেবিল আলোচনার মিডিয়া পার্টনার দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি, একাত্তর টেলিভশন ও এসএ টিভি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫
** অবৈধপন্থায় ক্ষমতায় যেতেই এই সহিংসতা
** দুষ্টের দমন এখনই
** সংলাপ নয়, সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চাই
** সংলাপ হাসিনা-খালেদার মধ্যেই হতে হবে
** গঠনমূলক রাজনীতি চাই
** যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন প্রতিহত করা হবে
** ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানো খালেদার ভণ্ডামি
** এখন অ্যাকশনের সময়
** ব্যবসায়ীরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে
** এখন অ্যাকশনের সময়
** স্বাধীনতাবিরোধীদের মদত দিতেই ১৫ আগস্টের জন্মদিন
** বোমা বানানোর বিচার হচ্ছে না
** বর্তমানে যা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণেই
** খালেদা কি গিনেস বুকে নাম লেখাতে চান
** যারা শুধু ভূ-খণ্ড চায় তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়
** অর্থায়ন বন্ধ না হলে সন্ত্রাস চলতেই থাকবে
** পুড়িয়ে মারার রাজনীতি এদেশে ছিল না
** খালেদা পাকিস্তানের উত্তরসূরী
** আইএসআইএ’র অর্থায়নে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত
** সন্ত্রাস পরিহার করলেই সংলাপ
** বিএনপি জোট শুধুই সন্ত্রাস করছে
** সব ধ্বংস করে একটি অধিকার রক্ষা করা কঠিন
** রাজধানীতে ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা