ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রায় দুই টন ওজনের চিনি ও চালের বস্তা নিয়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ক্রেন ছাড়া উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এদিকে, ট্রলারডুবির নিখোঁজ যাত্রীদের সবাই নিরাপদে তীরে ফিরে এসেছেন। তবে সকালে উদ্ধারকৃত নিহত যুবকের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জ বন্দর পরিদর্শক মো. শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ট্রলারটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয় ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী নৌযান অগ্নি তরণীর লোকজন। এটি উদ্ধারে ক্রেনের সাহায্য লাগবে। এজন্য আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন থেকে ক্রেন আনা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, ট্রলারটি গভীর পানিতে ডুবে গেছে। ক্রেন ছাড়া এটি উদ্ধার সম্ভব নয়।
এরআগে রোববার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। পরে ১০টার দিকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ভেসে উঠা এক বৃদ্ধকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকী যাত্রীরা সাঁতড়ে তীরে আসতে সক্ষম হয়।
ট্রলারটি ১০/১২ জন যাত্রী এবং চিনি ও চালের বস্তা বোঝাই করে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের উদ্দেশে ভৈরব থেকে ছেড়ে আশুগঞ্জে আসলে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫