ঢাকা: একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন। চারদিকে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ছে পত পত করে, মুক্তিকামী মানুষের বিজয়ের মিছিলে প্রকম্পিত রাজপথ আর সমস্ত উল্লাস বুকে-মুখে ধারণ করে রণক্ষেত্র থেকে ঘরে ফিরছেন নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা।
অথচ চারপাশের এ উৎসবের নানা রঙে রঙিন হওয়ার কথা যার সবচেয়ে বেশি, সেই তিনিই রইলেন বেদনায় নীল হয়ে।
কারণ, মুক্তির যে যুদ্ধে ছিল তারও অংশগ্রহণ, সেই যুদ্ধই কেড়ে নিয়েছে তার সবচেয়ে কাছের আপনজন-জীবনসঙ্গী প্রিয় মানুষটিকে, যে মানুষটি নিজেও অবদান রেখেছেন এ জাতির বিজয়গাথা রচনায়। মিছিলে-মিছিলে, লাখো মানুষের ভিড়ে স্বামীকে খুঁজে ফিরতে হয়েছে যাকে, বিজয়ের আনন্দে মশগুল হওয়ার সুযোগ কোথায় তার?
তিনি হচ্ছেন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আ ফ ম আবদুল আলীম চৌধুরীর স্ত্রী।
স্বাধীনতার আগে-পরে মিলিয়ে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশকের সংগ্রামী জীবনকর্ম আর মেধাবী-গুণি লেখকসত্ত্বার কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম প্রতীক বা ভরসাস্থলও। শিক্ষায় একুশে পদকপ্রাপ্ত এ মহান ব্যক্তিত্ব তাই জাতির বিবেকদেরও একজন। আজীবন সংগ্রামী নারী হিসেবে নারী অধিকার রক্ষার আন্দোলনের মূর্ত প্রতীকও তিনি।
জীবনের নানা পর্যায়ের চড়াই-উতরাই, হতাশা-নৈরাশ্য আর নানা উৎপীড়ন-টানাপড়েনের পরেও একাত্তরে স্বামীহারা এই নারী স্বাধীন বাংলার বিজয়ের পতাকাকে বুকে ধারণ করেই এগিয়ে চলেছেন এখনো। বিজয়ের ওই পতাকাতেই যে তিনি দেখেন তার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্বামীর মুখখানি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস’২০১৫ কে সামনে রেখে একান্ত আলাপচারিতায় শ্যামলী নাসরিন শোনালেন তার জীবনব্যাপী আন্দোলন-সংগ্রামের কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়া, স্বামীসহ শহীদ বুদ্ধিজীবী-মুক্তিযোদ্ধা তথা দেশের ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে নানা অপবাদে-লাঞ্ছনায় নতুন করে আরও কিছু হারানোর বেদনা-কষ্টের কথা। নারীর এগিয়ে চলা-পিছিয়ে পড়া, নারী অধিকার সুরক্ষা-অবনমিত হওয়ার নানা হতাশা-সম্ভাবনার পাশাপাশি নিজের চাওয়া আর আশাবাদের কথাও শোনালেন এই শহীদজায়া।
শ্যামলী নাসরিন বলেন, আমরা আহার-বাসস্থান কিছু চাই না। ক্ষমতা নয়, রাজ্যপাট নয়, অর্থ-বিত্ত নয়। শুধু ফিরে পেতে চাই আমার নিজ ঘর, আমার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ভূলুণ্ঠিত হওয়া, পাঁকে ডুবে যাওয়া আমার সেই স্বপ্ন- যাতে ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কথা, ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচারের কথা, শোষণ-লুণ্ঠনহীন এক সোনার বাংলার কথা। চাই সেই সংবিধান, যা বাহাত্তরের সংবিধান নামে বিশ্বখ্যাত।
একাত্তরের ঘাতক জামায়াত, রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যসহ সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ এবং বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া- এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমরণ লড়াই করারও দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
আর নারী দিবসের ভাবনা চাওয়া-পাওয়ার কথা? শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এ প্রশ্নে যেন এক বহ্নিশিখাই। অনর্গল বলে যান তাই, গার্মেন্টসে-শিক্ষায়-শিক্ষকতায়-নার্সিংয়ে-কর্মক্ষেত্রে নারী প্রমাণ করে দিয়েছে, তার যোগ্যতা-ক্ষমতা কতোখানি। তবে পরিবারে, নাগরিক জীবনে ও তৃণমূলে নারীর প্রতি যে বৈষম্য, সহিংসতা, যৌতুক, বাল্যবিবাহ, অবহেলা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য রয়ে গেছে তা দূর করতে হবে। সংবিধানে নারীর অধিকার সমান-সমান হলেও চর্চা নাই, বাস্তবায়ন নাই। সমাজে নারীর ক্ষমতায়নও পুরোপুরি হয়নি। এসবই করতে হবে রাষ্ট্রীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সঠিক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।
সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারী নয়, মানুষ- এ ধ্যান-ধারণা ও গণসচেতনতা নিয়ে সম্মিলিতভাবে এগোতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি তার পরামর্শ, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সে অধিকার আদায়ের ক্ষেত্র তৈরি করতে যোগ্যতা-সক্ষমতা-শিক্ষায় উপযুক্ততা অর্জন করতে হবে।
তবে সবকিছু অর্জনের একটাই পথ, বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া এবং তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন- বারবার একথাই বলছিলেন বরেণ্য এই মানুষটি। তার মতে, নারী অধিকার বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, বৈষম্য দূর, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল, গণতন্ত্রের প্রসার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে চার মূলনীতি পুন:প্রবর্তনসহ বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হবে।
এককথায় যে কারণে মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদেরা একাত্তরে আত্মাহুতি দিয়েছেন, সমগ্র বাঙালি জাতি আত্মত্যাগ করেছে, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়নে বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরতেই হবে।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ২২ এপ্রিল তার পৈত্রিক বাড়ি শেরপুরের চন্দকোনা থানার বন্দটেকি গ্রামে। বড় হয়েছেন বাবার কর্মস্থল ময়মনসিংহ শহরে। সেখান থেকে এইচএসসি শেষ করে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ভারতেশ্বরী হোমসে। দুই বছর পর তখনকার ঢাকা ইংলিশ প্রিপারেটরি স্কুলে (বর্তমানের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়)যোগ দেন।
১৯৬৫ সালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. আলীম চৌধুরীর সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। আর তখন থেকেই স্বামীর পাশে পাশে থেকে মুক্তির সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছেন তিনি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী আলীম চৌধুরী একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ে ক্যামোফ্লেজ ক্লিনিক তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিয়েছেন, তাদের জন্য ডাক্তারদের কাছে গিয়ে টাকা ও ওষুধ ফ্যাক্টরিগুলোতে গিয়ে ওষুধ সংগ্রহ করেছেন, সাহায্য করেছেন নানা প্রক্রিয়ায়। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীও তখন স্বামীর সহযোগী হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাঁদা ও ওষুধ সংগ্রহ এবং সোয়েটার বুনেছেন, লুকিয়ে পত্রিকা বিতরণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে। অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন ডা. আলীমের কাজে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের এ সমর্থনের কারণেই পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের কয়েক ঘণ্টা আগে ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে ডা. আলীমকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আলবদর সদস্যরা। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১৭ ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে দেশের অন্যান্য সূর্যসন্তানদের সঙ্গে তার মরদেহও পাওয়া যায়।
শ্যামলী বলেন, চূড়ান্ত বিজয়ের উষালগ্নে স্বামীকে হারানোর কারণে ১৬ ডিসেম্বর সকাল থেকেই তাকে নামতে হয়েছে অন্যরকম আরেক জীবন সংগ্রামে। স্বামীকে খুঁজতে বের হয়ে বিজয়ের দিন আনন্দ উৎসবেও যোগ দিতে পারিনি। দু’দিন পরে স্বামীকে খুঁজেও পেয়েছি। তবে জীবিত নয়, পেয়েছি আলবদর বাহিনীর নির্যাতনে ক্ষত-বিক্ষত তার মরদেহ।
দুঃসহ সেই স্মৃতিচারণ করে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, ১৮ ডিসেম্বর তার মরদেহ নিয়ে আসার পর দেখেছি। তার হাত দু’টো রশি দিয়ে পেছনে বাঁধা ছিল। দু'চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। শরীরের অনেক জায়গায় বেয়নেটের আঘাতের চিহ্ন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শেষ ছয় মাস নিজের বাড়িতে যাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম, সেই ছদ্মবেশী মান্নান, যিনি আসলে ছিলেন আলবদরদের অন্যতম সংগঠক মওলানা আব্দুল মান্নান (পরবর্তীতে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক, মন্ত্রী), সেই তিনিই আমার স্বামী ডা. আলীমকে একাত্তরের ১৫ ডিসেম্বর আলবদরদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
স্বাধীনতার পর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর একাকী জীবন সংগ্রাম শুরু হয়। তার ভাষায়, ছোট দু’টি বাচ্চাকে নিয়ে ভয়ঙ্কর সে জীবনযুদ্ধ।
ঢাকার উদয়ন স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘ ৩৬ বছর। এগার বছর ছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। ২০০০ সালে স্কুলটিকে কলেজে উন্নীত করে নাম দেন উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বছর দেড়েক এখানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকার তাকে চাকরিচ্যুত করেন। এরপর ২০০৪ সালে কয়েকজন সাবেক সহকর্মীর সঙ্গে মিলে ঢাকার লালমাটিয়ায় প্রতিষ্ঠা করেন উদ্দীপন বিদ্যালয়। এখন তিনি এ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।
বাহাত্তরে বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার পর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্য পরিবারগুলোর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন শুরু করেন শ্যামলীর পরিবার। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ১৯৯২ সাল থেকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মাধ্যমে সে আন্দোলন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়, শ্যামলী নাসরিন যার অন্যতম এক কুশীলব।
জিয়া, এরশাদ আর খালেদা জিয়ার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শ্যামলী নাসরিনদের সহ্য করতে হয়েছে সীমাহীন দুর্ভোগ, লাঞ্ছনা। বিপদসঙ্কুল সে পথপরিক্রমার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, নানা নিগ্রহ, কষ্ট, অবিচার সহ্য করতে হয়েছে। অবহেলার চোখে দেখা হয়েছে আমাদের, কোনো আয়োজনেই ডাকা হয়নি। শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্ত্রী হওয়াই যেন আমার অপরাধ!
শ্যামলী জানান, ২০০১ সালের খালেদা-নিজামী সরকারের কোপানলের শিকার হয়েছি বেশি। আমি ৩৬ বছরের চাকরিস্থল উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত হয়েছি।
আমার অপরাধ ছিল, আমি বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বাহিনীর হাতে গণধর্ষিত পূর্ণিমার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম এবং জেলে আটক শাহরিয়ার কবিরের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করেছিলাম। জোট সরকারের কাছে এ দু’টি কাজই ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ। তাই আমাকে ওই শাস্তি ভোগ করতে হলো।
ওদের পেটোয়া বাহিনী আলকায়দার নাম নিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে চিঠি লিখেছে, ‘একাত্তরে আমাদের মুরব্বিরা তোর স্বামী ডা. আলীম চৌধুরীর সঙ্গে তোকে না মেরে ভুল করেছে। এবার তোর পরিবারসহ তোকে খুন করবো’।
তারপরও থেমে থাকেননি। কঠিন সে পথচলায় নির্ভীক চিত্তে এখনও দৃঢ় পদক্ষেপ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের ধারায় দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপে ‘এখন ভালো আছি’ বলে মন্তব্য তার। তিনি বললেন, সারা জীবন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে লড়াই করেছি, তিনি (শেখ হাসিনা) সেটি শুরু করে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। আমাদেরকে, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে, তাদের পরিবারকে, আন্দোলন-সংগ্রামের অন্য সব সাথীদেরকে ডাকেন, সম্মান করেন। দেখে ভালো লাগে, মনটাকে বড় করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায়ও রয়েছে তার পরিবারের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী। আর তার বড় মেয়ে ডা. ফারজানা চৌধুরী সাক্ষ্য দিয়েছেন বাবা ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরীসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীর ঘাতক চৌধুরী মঈন উদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে। বিদেশে পলাতক এই দুই নরপশুও ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন।
শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী ২০০১ সালে শিক্ষায় একুশে পদক পেয়েছেন, পেয়েছেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মুক্তিযুদ্ধ সন্মাননা। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৩টি। বইগুলো মুক্তিযুদ্ধের ওপর উপন্যাস, ছোটগল্প ও স্মৃতিচারণমূলক লেখা। তার ছোট মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরীও চিকিৎসক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫