জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ১৬৮ জন নারী সদস্য কর্মরত আছেন বলে সংসদে তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (০৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে সেলিম উদ্দিনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান।
সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ১৬৮ জন নারী পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে ১ জন পুলিশ সুপার, ৬ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২ জন সিনিয়র এএসপি, ৪ জন এএসপি, ২ জন মেডিকেল অফিসার, ৯ জন ইন্সপেক্টর, ১৬ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৪১ জন এএসআই, ৮৫ জন কনস্টবল, একজন বাবুর্চি এবং একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। এসব নারী সদস্যদের মেয়াদ শেষে তাদের পরিবর্তে রোটেশন নারী সদস্যদের মিশনে পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ১৩৫৭ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত। এর মধ্যে ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তবে মিশনে কোনো মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য নেই।
কক্সবাজার-১ আসনের সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে গত ৫ বছরের ইয়াবা উদ্ধারের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮২ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ১৭৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার আসামি ১০ হাজার ৭৯ জন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্য একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদকদ্রব্যের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত।
তাহজীব আলম সিদ্দিকীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদ্যেগে ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৯১৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৭ হাজার ৯৪৮টি মামলায় ৮ হাজার ৩২০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীর গুলশান, বনানী, উত্তরা ও বারিধারাহ অন্যান্য অভিজাত এলাকা অবৈধ বার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩০টি অভিযানে ৩০টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। এতে ৪০ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫
** ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১১৩৯ জন