ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বব্যাপী বিমানবন্দরগুলোতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ছবি ও তথ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
বিশ্বব্যাপী বিমানবন্দরগুলোতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ছবি ও তথ্য

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: জাতির পিতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করতে ২০১০ সালের ২৮ মার্চ আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে সভাপতি করে গঠন করা হয়েছিল একটি টাস্কফোর্স। এ টাস্কফোর্স ২০১৩ সালের শেষ পর্যন্ত ১৩টি সভায় মিলিত হয়।


 
এসব সভায় জাতির পিতার দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এদের অবস্থান চিহ্নিত/শনাক্ত করতে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় এরই মধ্যে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ  বিমানবন্দরগুলোতে সাজাপ্রাপ্ত সব খুনির ছবি সম্বলিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদে জানিয়েছেন এ তথ্য।
 
রোববার (০৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য দেন।
 
সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালে সরকার বর্তমান মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর  টাস্কফোর্সকে পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স এরই মধ্যে একাধিক সভাও করেছে। এসব সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির পিতার খুনিদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ছবি সম্বলিত তথ্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলোতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
 
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিদের ছবি সম্বলিত তথ্য পাঠিয়ে এদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি নেই। অবস্থান চিহ্নিত হলেই যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে খুনিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
 
ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামির মধ্যে ৫ জনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামির মধ্যে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর (অব.) একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ, লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) এবং মেজর (অব.) বজলুল হুদার দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বাকি একজন আসামি মেজর (অব.) মো. আজিজ পাশা জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া ৬ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।

পলাতকদের বর্তমান অবস্থান: 
লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ পাকিস্তান/লিবিয়া (সম্ভাব্য), মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তান/লিবিয়া/জিম্বাবুয়ে, মেজর (অব.) আবু মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেজর (অব.) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী কানাডা, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ সেনেগালের রাজধানী ডাকার এবং  রিসালাদার মোসলেহ উদ্দিন ভারতে  (সম্ভাব্য) অবস্থান করছেন।
 
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী রাশেদ চৌধুরী এবং কানাডায় অবস্থানকারী নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া পলাতকরা যেন অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে না পারেন (যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা) সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

** পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে
** রাজস্ব আদায় বাড়লেও কমেছে সরকারি ব্যায়
** বাবা হত্যার বিচার চাইলেন মাহজাবিন খালেদ
** মিথ্যা গল্পে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
** শান্তিরক্ষা মিশনে ১৬৮ নারী পুলিশ সদস্য
** ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১১৩৯ জন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।