ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

খালেদা-অমিত শাহ ফোনালাপ

মিথ্যা গল্পে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
মিথ্যা গল্পে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারতের বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র মধ্যে টেলিফোন আলাপের মিথ্যা গল্প প্রচারে দেশের ভাবমূর্তি দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   একই কায়দায় আমেরিকার ৬ জন কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিবৃতি প্রচার করে বিএনপি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে সংসদে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।


 
রোববার (০৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে মো. তাজুল ইসলামের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব তথ্য দেন।
 
মন্ত্রী বলেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার অপপ্রয়াস ছিলো যার দায়-দায়িত্ব কোনোভাবেই সরকার ও জনগণের ওপর বর্তায় না। তারপরও বাংলাদেশ ও ভারত সরকার বা ভারতের বিজেপি এবং  কংগ্রেস উভয় দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বর্তমানে  যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান, তাতে এসব ঘটনায় নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না।
 
তিনি বলেন, বিশ্বের দরবারে বাঙালি জাতির ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে বর্তমান সরকার সচেষ্ট রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের চেয়ারম্যান এবং পত্রিকায় যেসব কংগ্রেসম্যানের নাম উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তাদের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। পরে ওইসব কার্যালয় থেকে এসব ঘটনার বিপরীতে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে তারা নিশ্চিত করেছেন, এরকম কোনো বিবৃতি তাদের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়নি।  

ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সম্পদের ন্যায্য হিস্যাসহ তিনটি অমীমাংসিত বিষয়ে পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অদ্যাবধি কোনো প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়নি। পাকিস্তানের সঙ্গে আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য সকল আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিক বৈঠকেও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে উত্থাপিত হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা/পাওনা অর্থাৎ উত্তরসূরী রাষ্ট্র হিসেবে অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘ অমীমাংসিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর একটি।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সকল আনুষ্ঠানিক বৈঠকেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেনা-পাওনাসহ তিনটি ইস্যুই পাকিস্তানের কাছে জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়ে আসছে। এরকম বৈঠকের মধ্যে ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫, ২০১০, ২০১২ সালের বৈঠকগুলো অন্যতম। আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে শীর্ষ বৈঠক কিংবা বহুপাক্ষিক বৈঠকের সাইডলাইনেও সম্পদের হিস্যাসহ তিনটি অমীমাংসিত বিষয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়।

বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও জানান, শুধুমাত্র ইসরাইল ছাড়া বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতা আছে। বর্তমানে বিশ্বের ৫৩টি দেশে বাংলাদেশের ৬৯টি মিশন রয়েছে। এছাড়া পোল্যান্ড ও ডেনমার্কে আরও দু’টি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস স্থাপনের সমস্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। এ বিষয়ে সমন্বিত কূটনৈতিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা দ্রুত ও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।