ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘হু ইজ হাই কমান্ড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
‘হু ইজ হাই কমান্ড’ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টার ঘটানয় জড়িত রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬) তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেই বলেছেন, তিনি বিএনপি’র হাই কমান্ডের নির্দেশে এ কাজ করেছেন। বিএনপি’র হাই কমান্ডের সঙ্গে ৫ লাখ ডলারের চুক্তি হয়েছিল  বলেও তদন্তে স্বীকার করেছে।



বিএনপি’র এই হাই কমান্ড কারা? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘হু ইজ হাই কমান্ড, হয়ার দে লিভিং, হয়ার আর দে ডুইং’। এর তদন্ত হওয়া দরকার। পাশাপাশি দেশের প্যানাল কোড অনুযায়ী বিচার দাবি করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।
 
রোববার (০৮ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় সভাপতির চেয়ারে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। এছাড়া সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
 
সুরঞ্জিত সেন বলেন, এফবিআইকে আজ সারা পৃথিবীতে নিরপেক্ষ ও আস্থাভাজন তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। সেই সংস্থার তদন্তেই বেরিয়ে এসেছে কারা এটা করেছে। আজ যদি বাংলাদেশের আদলতে এ তদন্ত করা হতো, তাহলে বলা হতো রাজনিতক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এটা করেছে। কিন্ত তারা তো আজ হাতে নাতে ধরা খেয়েছে।
 
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আদালত তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই রায় দিয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্নো তোলার সুযোগ নেই। মামলাটি ২০১১-১২ শুরু হয়েছে। এটি একটি প্রুভমেন্ট মেটার।
 
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত  বলেন, হাই কমান্ড বলতে আমরা কি বুঝি। আজ আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড বলতে বুঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিএনপি’র হাই কমান্ড খালেদা জিয়াকেই বুঝি। এনিয়ে কোনো সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই। এটা আমাদের কোনো সংস্থার তদন্তে এটা আসেনি। তারা যে কাজটি করেনি। এটা বলতে পারবেন না।
 
এদের বিচার প্রসঙ্গে বলেন, আজ বলা হয়েছে হাই কমান্ড থেকে চুক্তি করা হয়েছে। এ হাই কমান্ড কোথায় আছে, বাংলাদেশে।   আর হাই কমান্ড কোন আইনের অধীনে রয়েছে, বাংলাদেশের আইনে। তাই আমাদের পেনাল কোর্ড অনুযায়ী এদের বিচার করতে হবে। এজন্য আইন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়,  স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলতে হবে কিভাবে তদন্ত হবে।
 
তিনি বলেন, জয় আওয়ামী লীগে ভাবী নেতা দেখেই তারা এই ষড়যন্ত্র করছে। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ধ্বংস করতেই এটা করছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। এখন এই মুহূর্তে এফবিআই আমাদের দেশে রয়েছে। তারা যদি আমাদের দেশে এসে তদন্ত করতে পারে তাহলে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আমেরিকায় গিয়ে তদন্ত করতে হবে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার করারও দাবি করেন তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এ ঘটনায় ধিক্কার জানানোর অধিকার আমার নাই। রিজভী আহমেদ সিজার (৩৬) সানাত মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে। এই সানাত মোহাম্মদ উল্লাহ জিসাসের সহ-সভাপতি। তিনি আবার ড. এমাজ উদ্দিন আহমের খুবই কাছের বন্ধু, এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, রিজভী জবানবন্দিতে বলেছে বিএনপি’র উচ্চ পর্যায় থেকে ৫ লাখ ডলারের চুক্তি করা হয়েছিল। সজিব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে তথ্য পেতে। কারা এ তথ্যা চেয়েছিল, কারা চুক্তি করেছিল এর তদন্ত হওয়া দরকার।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।