জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিজভী আহমেদ সিজার ও জোহানেজ থেলার বিএনপির ‘হাইকমান্ড’র নির্দেশে ‘পরিকল্পনা’ করছিলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
রোববার (৮ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রথমে বিষয়ে কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
এসময় সংসদে সভাপতির চেয়ারে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রিজভী ও অপর জন তাদের জবানবন্দিতেই বলেছেন, পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার চুক্তিতে তারা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করে তাকে অপহরণের চেষ্টা করছিল। এটা আমাদের কোনো আদালতে বলেনি, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বলেছে। তাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ তদন্ত হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় একজন প্রতিভাবান ও কৃতি সন্তান। তাকেই আজ অপহরণের চেষ্টা করছে। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান নয়, দেশের গর্ব!
আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক বলেন, দেশের আইটি সেক্টরকে যিনি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাকেই অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার শুধু নিন্দাই জানাই না। এর জন্য গভীর তদন্ত হওয়া দরকার।
এরপরই আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বলেন, এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এফবিআই যদি আমাদের দেশে এসে তদন্ত করতে পারে, তাহলে আমাদের সেখানে যেতে সমস্যা কী, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
সেখানে গিয়ে তদন্ত করে আসতে হবে। কারা এই ‘হাইকমান্ড’? কার এতো শক্তি আমরা দেখতে চাই- মন্তব্য করেন খসরু।
একই দাবি জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, এরা কারা? এদের শক্তির উৎস কী? এর গভীর তদন্ত করতে হবে।
এসময় ডেপুটি স্পিকার সংসদকে অবহিত করে বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে নয়। তিনি (জয়) একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর ছেলে। তাকে অপহরণ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এজন্য আমি সরকারকে অনুরোধ করবো এ ব্যাপারে ফারদার ইনভেস্টিগেশন (পরবর্তী তদন্ত) দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫
** ‘হু ইজ হাই কমান্ড’
** যুক্তরাষ্ট্র থেকে রায়ের কপি এনে পর্যালোচনার দাবি
** বিশ্বব্যাপী বিমানবন্দরগুলোতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ছবি ও তথ্য
** পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে
** রাজস্ব আদায় বাড়লেও কমেছে সরকারি ব্যায়
** বাবা হত্যার বিচার চাইলেন মাহজাবিন খালেদ
** মিথ্যা গল্পে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন
** শান্তিরক্ষা মিশনে ১৬৮ নারী পুলিশ সদস্য
** ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ১১৩৯ জন
.jpg)
