ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জয়কে অপহরণ চেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রায়ের কপি এনে পর্যালোচনার দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রায়ের কপি এনে পর্যালোচনার দাবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় অপহারণের চেষ্টায় জড়িত রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দেওয়া রায়ের কপি এনে পর্যালোচনার দাবি তোলা হয়েছে সংসদে। পাশাপাশি যারা জড়িত তাদের বিচারের মুখোমুখি করারও দাবি করা হয়।


 
রোববার (০৮ মার্চ) রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টি উত্থাপন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

পরে এ আলোচনায় অংশ নেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাসদের কার্যকরী সদস্য মইনুদ্দিন খান বাদল, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, বিরোধী দলীয় সদস্য পীর ফজলুর রহমান, সরকার দলীয় সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

এদের আলোচনা শেষ কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া।
 
সভাপতির চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকার তার আলোচনায় বলেন, এই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রটি খাটো করে দেখলে চলবে না। আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রায়ের কপি এনে তা পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিএনপির হাইকমান্ড কে তাকে খুঁজে বের করা এবং বিচারের মুখোমুখি করা।

একইসঙ্গে জাসদের মইনুদ্দীন খান বাদলরে দাবিটিকেও যুক্তিযুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন আত্মঘাতী নারীকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের কথাও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।
 
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমাদের দেশে বিচার হলে বলা হতো রাজনৈতিক। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রমাণ হয়েছে, জড়িতদের শাস্তি হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে  এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির হাইকমান্ড জড়িত। বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ধ্বংস করতে বার বার চেষ্টা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই আর তাদের এদেশীয় এজেন্ট খালেদা জিয়া জড়িত।

তরুণ প্রজন্মের অহংকার সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করে ‘কুখ্যাত’ তারেক রহমানের পথকে পরিষ্কার করার জন্যই এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শয়তানের কাছে যারা বিবেক বিক্রি করে, তারা শয়তানের পক্ষেই কথা বলবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
 
জাসদের মইনউদ্দীন খান বাদল বলেন, যুগে যুগেই মীরজাফরদের জন্ম হয়। জিয়া সরাসরি মীরজাফরদের বংশধর কি না জানি না, তবে একাত্তরে এবং ১৫ আগস্টের ঘটনার আগে জিয়া কী করেছে তা তদন্ত করা উচিত। বাবা (জিয়াউর রহমান) ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত, মা (খালেদা জিয়া) ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত, আর আজ সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং ক্ষতি করার সঙ্গেও জড়িত সেই মা ও ছেলে।

তিনি খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে বলেন, চোখের সামনেই খুনী দাঁড়িয়ে আছে, অথচ আমরা শুধু বক্তৃতা দিয়েই যাচ্ছি। খুনীকে সুযোগ দিলে সে তার উদ্দেশ্য হাসিল করবেই। যা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘটনায় আবারও প্রমাণ হয়েছে। গণতন্ত্রের সহনশীলতা দেখাতে গিয়ে আমরা ১৫ ও ২১ আগস্ট দেখেছি। আর নয়। খুনী এ পরিবারের গ্যাংগ্রিনকে অপসারণ করতেই হবে।
 
পীর ফজলুর রহমান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জড়িতরা ২৭ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে-অথচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জাতিকে কোনকিছু জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করার ঘটনায় আদালতে জড়িতদের সাজাও হয়েছে, কিন্ত সংসদে মন্ত্রীরা কোনো বিবৃতি দেননি।
 
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও ঘটনার তদন্ত করা উচিত। সজীব ওয়াজেদ জয় সাধারণ কেউ নন, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, জাতির ভবিষ্যত। তার ওপর আক্রমণ জাতি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। তাই দেশেও তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
 
অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় মেধা, মনন ও তরুণ প্রজন্মের অহংকার। আর তারেক জিয়া ধ্বংস, দুর্নীতি ও হত্যার নায়ক। জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েন, আর তারেক হাওয়া ভবন করে দুর্নীতির রাজা হন। জঙ্গিবাদ দাউদ ইব্রাহিম ও আইএসের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদি খালেদা-তারেকরা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চান, তবে আমরা প্রত্যেক নারীরা একটি করে প্রীতিলতা কিংবা কর্নেল জামিল হয়ে যাব।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।