গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নদীতে পড়ে মেহেদী খালাসী(১০) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৩০ যাত্রীকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে, নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। নিহত মেহেদী খালাসী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার সেকেন্দার খালাসীর ছেলে।
সোমবার সকাল ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পদ্মবিলা এলাকায় ভাস্কর পরিবহনের বাসটি সড়ক থেকে ৫০ ফুট নিচে নদীতে পড়ে যায়।
গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, বাস দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জন ভর্তি রয়েছে।
জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান বাসু বাংলানিউজকে জানান, দুর্ঘটনাস্থলে বাসটির সামনের ডান পাশের টায়ার ফেঁটে যায়। এতে বাসটি সড়কের পাশে মধুমতি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
তবে, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আহতরা জানিয়েছেন, বাসটি অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর জন্য বাসটির চালক বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে এসে বাসটি নদীর মধ্যে ফেলে দেয়।
ওই বাসে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানান আহতরা।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার নিয়ামুল হক বাংলানিউজকে জানান, বাসটি পানির কমপক্ষে ২০ ফুট নিচে রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এ পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে একটি শিশু মারা গেছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ডুবন্ত বাস ওপরে তোলার চেষ্টা করছে। বাসটি তোলার পর নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছে। খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল রওনা হয়েছে। তবে, বাসটিতে কতজন যাত্রী ছিলো, তা উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫