জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বিএনপি-জামায়াত জোটের অব্যাহত হরতাল-অবরোধের ২৯ দিনে পরিবহন খাতে ৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের হিসাব তুলে ধরেন তিনি।
সোমবার (০৯ মার্চ) জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এই সময়ে ৩২৫টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ৫০০টি যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই সময়কালে সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগে ক্ষতি হয়েছে ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা, ভাঙচুরের কারণে ক্ষতি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০, রাজস্ব ক্ষতি ১৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ১০০ টাকা।
মি. মোহাম্মদ আব্দুল মুনির চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিআরটিসির সচল বাসের সংখ্যা ১ হাজার ৭৬টি। বিগত ৬ বছরে (২০০৯-১৪) ৯৫৮টি নতুন বাস বিআরটিসির বহরে যোগ হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৫ টি চীনা সিএনজি, ২৫৫টি কোরিয়ান সিএনজি (১৫০টি এসি ও ১০৫টি নন-এসি), ২৯০টি ভারতীয় অশোক লিল্যান্ড দ্বিতল বাস, ৫০টি ভারতীয় আর্টিকুলেটেড ও ৮৮টি ভারতীয় একতলা এসি বাস আনা হয়।
তিনি বলেন, নতুন ৯৫৮টি বাস ক্রয়ে জিওবি দেশি ঋণের পরিমাণ ১৯৪ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৫৯৫ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৭৯০ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
হাজী মো. সেলিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার ক্ষেত্রে পেশাদার ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার ড্রাইভারদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর নির্ধারণ করা আছে। তাছাড়া বিআরটিএ থেকে কোনো কোন নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫
** সোয়া ৩ কোটি টাকা নয়-ছয়ের চেষ্টা