সিলেট: সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ অক্টোবর) সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে এদিন তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- হবিগঞ্জের গ্রেনেড হামলায় প্রত্যক্ষদর্শী আহত আব্দুল কাইয়ুম, ইমান আলী ও আব্দুল মতিন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুর ২টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সিলেট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
তিনি বলেন, এ তিন সাক্ষী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এদের মধ্যে আব্দুল মতিনের বাবা গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সঙ্গে নিহত হয়েছেন। অপর দুই সাক্ষী আব্দুল কাইয়ুম ও ইমান আলী গ্রেনেড হামলায় আহত হন।
আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) কিশোর কুমার কর বলেন, এ নিয়ে মামলায় মোট চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুর ২টায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গউস, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৩ আসামিকে পুলিশি পাহারায় সিলেট আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার অপর আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতের নির্দেশক্রমে চিকিৎসাধীন থাকায় তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ লালা মামলায় হাজিরা দেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া।
ঘটনায় দিন রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিন দফা তদন্তের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউসসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। এর মধ্যে ১০ আসামি জামিনে, আটজন পলাতক, ১৩ আসামি কারাগারে এবং আরিফুল হক চৌধুরী কারা হেফাজতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর২১, ২০১৫/আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা
এনইউ/আরএম