ঢাকা: দিন বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় মহাষ্টমীর কুমারী পূজা উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে সকাল সাড়ে ১০টার পরপরই কুমারী পূজা শুরু হয়।
ঢাক-ঢোলের তালে তালে আর উলু ধ্বনির মধ্য দিয়ে কুমারী দেবী প্রমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরণ করে নেওয়া হয়।
পূজা পরিচালনা করেন মঠের প্রধান পুরোহিত স্থিরাত্মা নন্দ মহারাজ। এসময় পূজা মণ্ডপে বিপুল লোক সমাগম ঘটে।
১৬টি উপকরণ দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস- এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় ‘কুমারী’ মা’- এর পূজা। অর্ঘ্য দেওয়ার পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য।
পূজার শেষে প্রধান পূজারি দেবীর আরতি নিবেদন করে দেবীকে প্রণাম করেন। পূজার মন্ত্র পাঠ করে ভক্তদের মধ্যে চরণামৃত বিতরণের মধ্য দিয়ে প্রায় পৌনে একণ্টা পর শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষার্থী ছয় বছরের প্রমিতার শাস্ত্রীয় নাম নির্ধারণ করা হয় ‘মালিনী’।
প্রমিতা প্রিয়শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ও গায়ত্রী ভট্টাচার্য দম্পতির মেয়ে।
প্রিয়শংকর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ মেয়েকে দেবী দুর্গা রূপে দেখে নিজেকে স্বার্থক হিসেবে আখ্যায়িত করে, কন্যার জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন।
এসময় সমাজে বিরাজমান অসুর ধ্বংসের প্রার্থনা করেন তিনি।
২০০৯ সালের ১০ জুন জন্ম নেওয়া ‘কুমারী দুর্গা’ প্রমিতা অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সবাই আমাকে দেখতে এসে পুজো দিয়েছে, আমার খুবই ভালো লাগছে। সবাই মিলে যেন সোনার বাংলা গড়তে পারি এই প্রার্থনা করি।
ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের সহ-সম্পাদক এবং পূজার তন্দ্রধারক স্থিরাত্মা নন্দ মহারাজ (নিরঞ্জন পাহারাজ) বলেন, সব নারীর মধ্যেই তিনি (দুর্গা দেবী) মাতৃরূপে আছেন। তিনি সব দুর্গতি নাশিনীও। সবার মধ্যে এই উপলব্ধি জাগ্রত করতেই কুমারী পূজা হয়।
রাজধানী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরসহ কয়েকটি মঠ এবং পূজামণ্ডপেও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এইচআর/এমএ