গাজীপুর: গাজীপুর থেকে প্রাইভেটকারযোগে ময়নাতদন্ত ছাড়া ভাগ্নির মরদেহ গ্রামের বাড়ি বরিশাল নিয়ে যাওয়ার পথে মামাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুরের মাওনা-চৌরাস্তা এলাকা থেকে ভাগ্নি সুফিয়া বেগমের (১৭) মরদেহসহ আটক হন মামা রানা সরকার (২৫)।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাশিদ জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ি মামার সঙ্গে ভাড়া থাকতেন সুফিয়া। তিনি স্থানীয় এমসি বাজার এলাকার ইউনিয়ন গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি বরিশালের গৌরনদী থানার ভাঙ্গিলা এলাকার আব্দুস সোবাহানের মেয়ে।
সুফিয়া প্রতিদিন মামা ও তার বন্ধুর রান্নার কাজ করে দিতেন। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় মামা রানা সরকার ভাগ্নি সুফিয়াকে ডাকতে যান। পরে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে ভাগ্নিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলে থাকতে দেখেন।
পরে সুফিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মামা সুফিয়ার মরদেহটির ময়নাতদন্ত ছাড়াই একটি প্রাইভেটকারযোগে বরিশাল নেওয়ার পথে শ্রীপুরের মাওনা-চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে তাদের কারটি যাত্রাবিরতি করে। এসময় স্থানীয় লোকজন কারটিতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে মরদেহের ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত কাগজ-পত্র না পাওয়ায় মামাসহ ভাগ্নির মরদেহটি থানায় নিয়ে যায়। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে সুফিয়া আত্মহত্যা করেছেন তা কেউ জানাতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এএ