ঢাকা, সোমবার, ১৩ মাঘ ১৪৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ইইউ দেশগুলোকে মানবিক হওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ইইউ দেশগুলোকে মানবিক হওয়ার আহ্বান

ঢাকা: অভিবাসন প্রক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেছেন, উন্নত দেশগুলো বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে অভিবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আরও সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও মানবিক হতে হবে।



বুধবার (২১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সিআইসিজি (সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ইন জেনেভা-সিআইসিজি) কনফারেন্স সেন্টারে আয়োজিত আইপিইউ এর ১৩৩তম সম্মেলনে’’ তিনি এ আহ্বান জানান।

বিকেলে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেত্বত্বে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। আজ তাঁরই কন্যা বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত যেভাবে আমাদের শরণার্থীদের সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিল জাতি আজও তা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। এ অভিজ্ঞতার ফলে অভিবাসন সম্পর্কে বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইপিইউ এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অভিবাসন প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ও বাস্তবমুখী এমন নীতি গ্রহণ করতে হবে যার ফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রতি যেন আরও বেশি মানবিক হওয়া যায়। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হলেও এখনও নিবন্ধনকৃত ৩২ হাজার শরণার্থী ও নিবন্ধন ছাড়াও হাজার হাজার শরণার্থী রয়েছে যাদের প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত মানবিক আচরণ করে যাচ্ছে।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আমরা সকলেই এ পৃথিবীর নাগরিক। এ পৃথিবীতে সকলের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর সকল নাগরিককে সমান সুযোগ করে দেয়ার দায়িত্ব হচ্ছে সকল দেশের আইন প্রণেতা ও পার্লামেন্টারিয়ানদের। আর আমরা যদি সকল নাগরিকের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে পারি, প্রতিটি দেশের টেকসই উন্নয়ন ঘটাতে পারি, দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারি, তাহলে কোন দেশের জনগণই এক দেশ দেশে অন্য দেশে অভিবাসনের জন্য যাবে না। এর ফলে পৃথিবীতে যুদ্ধ বিগ্রহ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

আইপিইউ এর প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী , হাজী মোহাম্মদ সেলিম, নুরুল ইসলাম সুজন, মঈন উদ্দিন খান বাদল, ফজলে হোসেন বাদশা, বিরোধীদলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন, শিরিন নাঈম, রওশন আরা মান্নান।

এছাড়াও আইপিইউ এর ১৬৬ টি দেশের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।