রাজশাহী: শাস্ত্রমতে গত বছরের মতো এবারও নবমী ও দশমী ছিলো বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর)। বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও, প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর)।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকে রাজশাহী মহানগরী ঘেঁষা পদ্মানদীতে চলছে প্রতিমা বিসর্জন। এর মধ্য দিয়েই ভাঙবে পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন দুর্গোৎসবের এ মিলনমেলা।
বিসর্জন ঘিরে যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য রাজশাহীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পদ্মা নদীর তীরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
আজ দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গশিখর কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন। মা দুর্গা চলে গেলেও পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের শ্রদ্ধা ও আনন্দমাখা জল।
পাশাপাশি ভক্তদের কাছে রেখে যান আগামী বছর আবার ফিরে আসার অঙ্গীকার। তাই আবারও মর্ত্যলোকে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় ভক্তরা চোখের জলে মাকে বিদায় জানাচ্ছেন।
পঞ্জিকা মতে এ বছর তিথি অনুযায়ী, মহানবমী ও বিজয়া দশমীর লগ্ন একই দিনে হওয়ায়, বৃহস্পতিবার শেষ হয় এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি তপন কুমার সেনা জানান, রাজশাহীতে দুপুর থেকেই প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই তা শেষ করার কথা রয়েছে। এজন্য মহানগরের মুন্নুজান, পঞ্চবটি, আলুপট্টি, ফুদকিপাড়া ও বড়কুঠি ঘাটে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে, নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান শেষ করতে বর্তমানে কুমারপাড়া, আলুপট্টি, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি। মহানগরের বিভিন্ন এলাকার পূজামণ্ডপ থেকে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিমা নিয়ে এসে পদ্মা নদীতে বিসর্জন করা হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার তমিজ উদ্দিন জানান, পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি আনসার, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
এসএস/এসএস