নীলফামারী: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে হায় হায় কোম্পানির খপ্পরে পরে প্রায় চার হাজার নিরীহ নারী অর্ধকোটি টাকা খুইয়েছেন।
উপজেলার ছাদুরারপুল বাজারের কাছে একটি নিভৃত এলাকায় একটি বাড়িতে ‘হস্ত শিল্প প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি হায় হায় কোম্পানি আশ্রয় নেয়।
বাড়ির মালিক পক্ষ ও প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পরে গ্রামের সহজ-সরল নারীরা প্রত্যেকে ভর্তি ফি ৩০ টাকা, ট্রেনিং ফি বাবদ ৬০০ টাকা ও প্রতিটি সমিতি থেকে সেলাই মেশিন জামানত বাবদ ৯ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা দেয়। এতে তাদের মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ লক্ষাধিক।
এদিকে চার মাস অতিবাহিত হলেও সেলাই মেশিন না দেওয়ায় প্রতারক চক্রটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে তারা। এতেও কাজ না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ নারীরা বাড়ির মালিক ও হায় হায় কোম্পানির লোকজনের ওপর চড়াও হলে দু’দিনের মধ্যে সেলাই মেশিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে কোম্পানির লোকজন।
পরে হায় হায় কোম্পানির টিম লিডার মেজবাউল হকসহ ৬জন প্রতারক রাতারাতি ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা বাড়ির মালিকের কাছে তাদের খোয়া যাওয়া টাকা ফেরত চাইলে বাড়ির মালিক বুড়িরহাট দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ছোট ভাই জয়নুল ও আত্বীয়-স্বজনরা জানান, ওই কোম্পানির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ইউপির বক্সিপাড়া সমিতির সভানেত্রী গীতা রানীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের ৩০ জন সদস্যের কাছ থেকে জন প্রতি ভর্তি ফি ৩০ টাকা, ট্রেনিং ফি ৬০০ টাকা ও সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে ৯ হাজার টাকা কোম্পানির লোক গ্রহণ করে।
এছাড়া দক্ষিণ কালিকাপুর দোলাপাড়া ‘হস্তশিল্প প্রাইভেট কোঃ লিমিটেড’ সমিতির সভানেত্রী রোকসানা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের সমিতিতে ২৭টি কাপড় সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেয় প্রতারক চক্র।
ছাদুরার পুল এলাকার রহমতুল জানান, পুটিমারী ইউপি থেকে দু’জন, কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি থেকে একজন ও রণচন্ডি ইউপি থেকে একজন উঠতি বয়সের শিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করে কোম্পানিটি। এরা প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পরে তাদের কাজে সহযোগিতা করে।
যোগাযোগ করা হলে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘হস্ত শিল্প প্রাইভেট কোঃ লিঃ’ নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
আরএ