ঢাকা: বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শামীম সারা খান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক আক্কাস হোসেন এবং চট্টগ্রাম নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।
সূত্র জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শামীম সারা খানের বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ রয়েছে। সোমবার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকার রেকর্ডপত্র তলব করে নোটিশ পাঠান।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক (যানবাহন শাখা) আক্কাস হোসেনের বিরুদ্ধে গাড়ি চালকের স্বাক্ষর জাল করে প্রয়োজনের দ্বিগুণ পরিমাণ জ্বালানি ইস্যু করানোর অভিযোগ রয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে, ইস্যু করা জ্বালানি বাইরে বিক্রির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি মালিক হয়েছেন কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের। এ বিষয়ক লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় সোমবার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট চার ধরনের রেকর্ডপত্র তলব করে দুদক। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে সরবরাহের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। উপ-পরিচালক আব্দুছ ছাত্তার সরকার এর অনুসন্ধান করছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়াই তিনি ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নৌযানের ফিটনেস সনদ দিয়েছেন। খুলনা অফিসের জন্য নিয়োগ করা ৬ কর্মচারীকে চট্টগ্রাম অফিসে নিয়োজিত রেখেছেন ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে। এছাড়া আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অংকের জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পত্তি অর্জন করেছেন। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় গত ৮ অক্টোবর সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রেকর্ডপত্র তলব করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় নথিপত্র হাতে পাওয়ায় দুদকের সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাদের তলবি নোটিশ পাঠাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এডিএ/আইএ