ঢাকা: সরকার যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আইনটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইনের খসড়ার ওপরে মতবিনিময় সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি
এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, যৌন হয়রানির কারণে অসংখ্য সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- আত্মহত্যা, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, সংসার ভেঙে যাওয়া, নারী ও শিশুর মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী শিগগিরই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের জন্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হবে।
জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রটেকটিং হিউমেন রাইটস প্রোগ্রামের চিফ অব পার্টি ওব্রেই মেককুচয়ন, বাংলাদেশ ল কমিশনের সেক্রেটারি ও ডিস্ট্রিক্ট জজ আলী আকবর।
ওব্রেই মেককুচয়ন বলেন, যৌন হয়রানি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি সারা বিশ্বের সমস্যা। দিন দিন এ সমস্যার নতুন নতুন ডাইমেনশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে গ্লোবাল এক্সপেরিয়েন্সকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে প্রতি দশ জন নারীর মধ্যে নয় জন জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে যৌন হয়রানির শিকার হন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী যৌন হয়রানি মুক্ত শিক্ষা ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করা বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে সম্ভব হলে মহিলাদের নেতৃত্বে কমপক্ষে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নের জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৫
এমএন/আরএম